মতিউরকন্যাসহ ৪ জনের আয়কর নথি জব্দ
Published: 3rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস, ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক মীর মোহাম্মদ আবুল কালাম আযাদ ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন এবং ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কন্যা ফারজানা রহমান ইপ্সিতা আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ইপ্সিতার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মাসুদ বিশ্বাসের নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৬২২ টাকা সম্পদ ভোগদখলে রাখায় দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সেজন্য তার আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।
আবুল কালাম ও তার স্ত্রীর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আবুল কালাম আযাদ অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৯ লাখ ৯ হাজার ৫২৭ টাকা মূল্যর সম্পদ অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের আয়কর নথি খোলার বর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ বর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।
ইপ্সিতার আবেদনে বলা হয়, দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান পূর্বক ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকার সম্পদ গোপন ও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা ভোগ দখলে রাখার অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। মূল আয়কর নথির ২০১৩-১৪ হতে ২০২৩-২৪ বর্ষ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্যাদি জব্দ করা প্রয়োজন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ইপ্সিতা দেশে অবস্থান করছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশগমন রহিত করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর রিটার্নে ভুল হলে কীভাবে ঠিক করবেন
বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমায় ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, ভুল হতেই পারে। করের হিসাবেই বেশি ভুল হয়। কর রেয়াতের হিসাবেও ভুল করেন অনেক করদাতা। এ ছাড়া করদাতারা এমনিতেই আয়কর নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকেন।
যদি কোনো কারণে রিটার্ন ভুল হয়ে যায়, তাহলে আপনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। আপনি রিটার্ন জমার পরও তা সংশোধন করতে পারবেন। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
এবার দেখা যাক, কীভাবে রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন।
তিন ভুল সংশোধন করা যাবে
রিটার্নে তিন ধরনের ভুল সংশোধন করা যাবে। রিটার্ন দাখিলের পর যদি করদাতার কাছে প্রতীয়মান হয় যে তাঁর প্রদেয় কর সঠিকভাবে পরিগণিত হয়নি বা সঠিক অঙ্কে পরিশোধিত হয়নি, তাহলে তিনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। যেসব ভুল সংশোধন করা যাবে, তা হলো—১. প্রদর্শিত আয়, ২. দাবি করা কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট ও ৩. অন্য যেকোনো যৌক্তিক কারণে ভুল।
যাঁরা ভুল সংশোধন করতে পারবেন না
রিটার্নে তিন ধরনের কারণে ভুল সংশোধন করা যাবে না। এগুলো হলো—১. রিটার্ন দাখিল করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন শেষ হওয়ার পর, ২. সংশোধিত রিটার্ন প্রথমবার দাখিলের পর ও ৩. মূল রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর।
অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন
করদাতাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংশোধন অপশন ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনী রিটার্নে যদি করের পরিমাণ বাড়ে, তাহলে নিয়ম অনুসারে বাড়তি করসহ জরিমানা দিতে হবে।
যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুলত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাঁদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু আছে। যাঁরা সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন, তাঁদের অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়কর দিবস–পরবর্তী সময়েও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধাও চালু আছে।
সরাসরি রিটার্ন দাখিল
আয়কর আইনে কর কার্যালয়ে গিয়েও ভুল সংশোধনী রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোনো করদাতা রিটার্ন দেওয়ার পর যদি দেখেন যে অনিচ্ছাকৃত ভুলে রিটার্নে কম আয় দেখিয়েছেন, কম কর পরিশোধ করেছেন কিংবা বেশি কর রেয়াত, কর অব্যাহতি বা অন্য কোনো কারণে কম কর পরিশোধ করেছেন। হিসাবের ভুলেও এমন হতে পারে। তাহলে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে এই রিটার্ন জমা দিতে হয়।
আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপকর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেবেন।