বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেম জীবন নিয়ে বরাবরই মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। যখন থেকে তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে এসেছে, সকলেই জানতে চেয়েছেন তবে কি এ বার নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন? কার সঙ্গে ডেটিং করছেন অর্জুন? মালাইকা কি আরও একবার নতুন করে প্রেম খুঁজে পেলেন জীবনে? যদিও এই প্রথম প্রেম ভাঙেনি মালাইকার। অর্জুনের সঙ্গে ব্রেকআপের আগেও বিয়ে ভেঙেছে অভিনেত্রীর। তবে এখন প্রেম নিয়ে কী ভাবেন তিনি?
অভিনেত্রীর জীবনে এর আগেও দুটি সম্পর্ক ভেঙেছে। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এমতাবস্তায় অনেকের নেই প্রশ্ন, আর কি নতুন কাউকে তাঁর জীবনে এন্ট্রি দেবেন মলাইকা? নাকি ভবিষ্যতে একাই থাকতে চাইবেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনেও। ব্রেক আপের পর প্রেম নিয়ে কী ভাবছেন মালাইকা, সেই তথ্যও এ বার প্রকাশ্যে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন মালাইকা। ওই ভিডিয়োতে প্রেম সম্পর্কে অভিনেত্রী খোলাখুলি কথা বলেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি মেয়ে সুন্দর পোশাক পরে আনন্দে নাচছেন। তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে জমিয়ে ছবি তুলছেন। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ভালোবাসা ধৈর্যের, দয়ার। ভালোবাসা মানে ধীরে ধীরে মন হারানো।’
মালাইকার এই পোস্ট দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে, তবে কি তিনি এখনও প্রেমে বিশ্বাসী? নতুন প্রেম খুঁজে পাওয়ার আশায় এখনও রয়েছেন তিনি? এখন সকলে এটাই জানতে মুখিয়ে, কবে আবারও ভালোবাসার মানুষ আসবে তাঁর জীবনে। সম্প্রতি নিজের বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানান অর্জুন কাপুর। অভিনেতা বলেন, ‘এখনও বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনা করিনি। তবে তেমন কিছু ভাবলে প্রথমেই সকলকে জানাবো। তবে আজ আমরা যদি শুধু সিনেমা নিয়ে কথা বলি, তা হলে ভালো হয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি এর আগে বহু কথা বলেছি। বাকিদের আমার জীবন নিয়ে কথা বলার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আপাতত আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে চাই না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ