টিকিট বিক্রিতে মেট্রোরেলের আয় ২৪৪ কোটি টাকা, মে থেকে শুক্রবার সকালেও ট্রেন
Published: 4th, February 2025 GMT
মেট্রোরেলে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ টাকা। এর আগের অর্থবছরে আয় হয় ১৮ কোটি টাকা। মেট্রোরেল চালুর পর গত সোমবার সর্বোচ্চ দুই লাখ ৮২ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন।
সোমবার রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে বিনিময়ে সভায় মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল ডিপোতে এ সভা হয়।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ চালু হয়। পরের বছরের অক্টোবরে চালু হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। আগামী জুনে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ উদ্বোধনের মাধ্যমে ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-৬ লাইনের পুরোটা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রথম বছর পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছিল। তখন দিনে ১০ বার ট্রেন চলত। এখন ট্রিপের সংখ্যা ২০০। ডিএমটিসিএলের লক্ষ্য দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন। তখন মেট্রোরেলে ভর্তুকি থাকবে না। এ দিন বেশি দূরে নয়। দিয়াবাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত এমআরটি-৬ লাইন বর্ধিত হলে যাত্রী আরও বাড়বে।
আগামী মে মাস থেকে শুক্রবার সকালেও ট্রেন চলালোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবদুর রউফ। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ হলেও, নান্দনিকতাকে বৃদ্ধিতে গ্রাফিতি গ্রহণযোগ্য। কিন্ত প্রাফিতিতে মনের আনন্দে এখন অনেকে পোস্টার লাগাচ্ছে। তা বন্ধে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশকে চিঠি দিচ্ছি।
৫ আগস্টের ডিএমটিসিএলের কর্মীরা পেশাগত মর্যাদা, গ্রেড ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি করেছিলেন। আবদুর রউফ বলেন, এখন পর্যন্ত ২০০ জন কর্মী চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। একজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরির পর চলে যাচ্ছে। হুট করে নতুন লোক পাচ্ছি না। যা চ্যালেঞ্জ।
সভায় অংশ নেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল র পর
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন
আগামী অর্থবছরের জন্য ৯০ হাজার ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা বিল অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার এ বিল পাস হয়।
বিলটি পাস হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। ৩১২ জন আইনপ্রণেতা জাতীয় প্রতিরক্ষা অনুমোদন আইন (এনডিএএ) পাসের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ১১২ জন। বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে এবং আগামী সপ্তাহে সেখানে বিলটি পাস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা বিলের জন্য একটি প্রস্তাব করেন। তবে প্রতিনিধি পরিষদ বিলে তার চেয়ে ৮০০ কোটি ডলার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে।
গত রোববার ৩ হাজার ৮৬ পৃষ্ঠার ব্যাপক আকারের বিলটি প্রকাশিত হয়। এতে চীন ও রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সামর্থ্য বাড়ানোর মতো এনডিএএ ধারাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। এতে মার্কিন সেনাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোতে আবাসনব্যবস্থার উন্নয়ন।
আইনপ্রণেতারা বিলে কয়েকটি ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আগামী দুই বছর ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলার করে সামরিক সহায়তা প্রদানসহ রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ওয়াশিংটনের দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির সুদৃঢ় ভিত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত পেন্টাগনকে ইউরোপে কমপক্ষে ৭৬ হাজার সেনা ও গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম মোতায়েন রাখার কথা বলা হয়েছে বিলে।
ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে বিল থেকে কয়েকটি কর্মসূচি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি–সংক্রান্ত উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন–সম্পর্কিত প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের তহবিল।