যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, “ নীতির সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। তাই সার বিতরণে কোনো প্রকার অনিয়ম বা অস্থিরতা তৈরি করা যাবে না। যারা এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।” 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যশোরের অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার আমদানিকারক, বিএফএর প্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

আজাহারুল ইসলাম বলেন, “অভয়নগর থেকে ৭০ শতাংশ সার দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। গত বছরের ৫ আগস্টের আগের সব অনিয়ম-দুর্নীতির চিহ্ন মুছে ফেলে নতুন করে কাজ করতে হবে। আমাদের সবার চিন্তা চেতনার পরিবর্তন আনতে হবে। কৃষকের চাহিদা মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সার ব্যবস্থাপনা ও ওজনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আরো সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন হবে।”

উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়দেব চক্রবর্তী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএফএর প্রতিনিধি আব্দুল আওয়াল, আমদানিকারক নোয়াপাড়া গ্রুপের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরী, সার পরিবেশকদের পক্ষে কাজী ফারুক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অভয়নগর থানার ওসি মো.

এমাদুল করিম, কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, ছাত্র প্রতিনিধি ইরফান, নোয়াপাড়া গ্রুপের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জনি।

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে মশিয়াহাটী বাজারের সৌখিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানটির মালিক গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

গৌতম কর্মকার জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর সোনার দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে তিনি রাতে বাড়ি থেকে বের হননি। আজ সকালে দোকানটিতে গিয়ে তিনি ডাকাতির আলামত দেখতে পান।

গৌতম কর্মকারের দাবি, তাঁর দোকানের লকারে প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২৪ ভরি ওজনের রুপার গয়না ছিল। এগুলোর বাজারমূল্য চার লাখ টাকার বেশি। ডাকাত দলটি এগুলোর সব লুট করেছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল মশিয়াহাটী বাজারে আসে। তাদের সবার মুখ কাপড়ে দিয়ে বাঁধা ছিল। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে একজন নারীসহ বাজারের অন্তত সাতজনকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এবং মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলে রাখে। এরপর সৌখিন জুয়েলার্সের কলাপসিবল গেটের একটি পাশ এবং শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে লকারের তালা ভেঙে সোনা ও রুপার গয়না নিয়ে যায় তারা। ভোর চারটা পর্যন্ত সেখানে ডাকাতি হয়। এ সময় শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হন স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ বিশ্বাস (৬০) ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস (৫৫)। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রতিমা বিশ্বাসের গলার একটি সোনার হার নিয়ে যায়।

মশিয়াহাটী বাজারের পাশে সুজাতপুর গ্রাম। ওই গ্রামের কৌশিক দাস (১৬) জানায়, গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতেরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর তার দুই হাত দড়ি দিয়ে পেছনে বেঁধে মুখে চওড়া স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।

কৌশিক দাস বলে, ‘ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর ভোর চারটার দিকে আমি কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ফেলি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের হাত ও মুখের স্কচটেপ খুলে দিয়েছি।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম রবিউল ইসলাম, বিষয়টি চুরি না ডাকাতি, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি