কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ছাবিকুল ইসলামের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। রোববার কলাকান্দি ইউনিয়নে কালাচান্দকান্দি গ্রামে বার্ষিক ওরস মাহফিলে বক্তব্যটি দেন তিনি।

সোমবার ভাইরাল হওয়া ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের বক্তব্যে বিএনপি নেতা ছাবিকুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ওয়াজ মাহফিল দিলে কোনো লোক হয় না, আশেকের গানের মধ্যে কেন এত হাজার হাজার জনতা। ওয়াজ দিয়ে কী লাভ, যদি লোক না আসে। তাহলে আমরা গানই করি।’ এই বক্তব্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে নানা প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন নেটিজেনরা। উপজেলার একাধিক স্থানে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওসমান গণি ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার যৌথ স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে ছাবিকুল ইসলামকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নোটিশের জবাব দিয়েছেন ছাবিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলা বিএনপি।

কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ছাবিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি একটি ওয়াজ মাহফিল দিয়েছিলাম, সেখানে লোক হয়নি। গানের আসরে গিয়ে দেখলাম অনেক লোক। আক্ষেপ করে ওই বিষয়টি আমি আমার বক্তব্যে তুলে ধরেছিলাম। আমার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মূল বক্তব্যের একটি অংশ প্রচার করে। তার পরও অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমি দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া জানান, শোকজের জবাব পেয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব এনপ ছ ব ক ল ইসল ম ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ