দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সেকশন অফিসার মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরর রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো.

মজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “গত ৫ আগস্টের পরে তিনি আর অফিসে আসেননি। গত জানুয়ারি মাস থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে।”

গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতির জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মকর্তা মাজেদ জবাব না দিলে গত ৩ নভেম্বর আবারো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেটারও কোন জবাব পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন, আহ্বায়ক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক। 

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তিরক্ষা মিশনে ৬ বাংলাদেশি সেনা নিহত: তারেক রহমানের শোক

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আট জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিন জন নারী সেনাসদস্য রয়েছেন।

এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ শোক জানান।

তারেক রহমান লেখেন, “সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।”

তিনি আরো লেখেন, “জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাঁদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, “এই কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো সংশ্লিষ্ট সবার নৈতিক দায়িত্ব।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ধরনের হামলায় শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত ও আহত বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের এই আত্মত্যাগ দেশ ও জাতির জন্য গর্বের পাশাপাশি বেদনারও।

ঢাকা/আলী/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ