স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার অভিযোগে রাতে ঢাকায় বিক্ষোভ
Published: 6th, February 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থতার অভিযোগে তাঁর বাসভবন ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের বাধায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মাথায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ার থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশে বের হন শিক্ষার্থীরা। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যেতে না পেরে রাত পৌনে ১২টার দিকে মিন্টো রোডের মাথায় বসে পড়েন তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ ফেসবুকে পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্মভূমি হাতিয়ায় সাবেক এমপি জলদস্যু মোহাম্মদ আলীর বাসা থেকে ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসন আছে, কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্রও আছে। আমার ভাইদের উপর সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়েছে, আমি যাচ্ছি। হয় জন্মভূমি, নয় মৃত্যু। দোয়া করবেন।’
এর কিছুক্ষণ পরে আব্দুল হান্নান মাসউদ আরেকটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে যাচ্ছি, ওখানে অবস্থান করবো রাত ১২:৩০টা থেকে। ওনারা ঘুমাবে, আর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের উপর গুলি করবে। যারা সঙ্গ দিবেন, আসতে পারেন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শনিবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় আবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর সংলগ্ন এলাকাকেও এই ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টো রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকা) সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হলো।
এর আগেও কয়েক দফায় ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে একই এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার পরও কেন আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো—জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণবিজ্ঞপ্তির মেয়াদ থাকে ৩০ দিন পর্যন্ত। ৩০ দিন পর নতুন করে আবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।