বিপিএলের ২০২৫ সালের আসর শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। এবারের টুর্নামেন্টে ভালো রান হয়েছে। যে কারণে গ্যালারিতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। তবে কিছু বিতর্কিত বিষয়ও ছিল। যেমন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের ঠিক মতো পারিশ্রমিক দেয়নি।

দলের খেলা শেষ হওয়ার পর ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি। এছাড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে অনাকাঙ্খিত মন্তব্যও দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীতে বিপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি, হোটেল ব্যবস্থাপনা ও টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরার ব্যবস্থা বিসিবি করবে।

বিসিবি এক বার্তায়  জানিয়েছে, বিসিবি বিপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশিদের ব্যবস্থাপনা নিজেরাই করবে। বিপিএল ড্রাফটে থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি নিজেরাই যোগাযোগ করবে। তাদের ম্যাচ ফি’র নিশ্চয়তা দেবে এবং সময় মতো পারিশ্রমিক পরিশোধের বিষয়টি নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে প্রদাণ করবে।

বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারদের থাকা-খাওয়ার বিষয়টি নিজেরাই দেখভাল করবে। টুর্নামেন্ট শেষে যাতে তারা ঠিকঠাক দেশে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে বোর্ড। বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে কঠোর হবে, খেলোয়াড়দের সেফগার্ডিং ও পারিশ্রমিকের পদ্ধতি কঠোর করবে।

বিসিবির বার্তায় বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘বিসিবির উদ্যোগ প্রমাণ করে বিপিএলের সততা নিশ্চিত করতে এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পেশাদার অভিজ্ঞতা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিপিএলের পরিচালনা ও আর্থিক বিষয় শক্তিশালী করতে বোর্ড সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সর্বদা যুক্ত থাকবে।’    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ফ র ক আহম দ ব যবস থ ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ