নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মাসিক সচেতনতায় ইয়ুথ প্ল্যানেট
Published: 8th, February 2025 GMT
নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাসিক নিয়ে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। লজ্জা, জড়তা কাটিয়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও আওয়াজ তুলছেন নিজের মতো করে। উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ তৈরি করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। কীভাবে এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে দূর করে নারীর এগিয়ে চলার পথকে আরো মসৃণ করা যায় এ নিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে। এমনই একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ প্ল্যানেট।
সংগঠনটি নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, আইনি লড়াই থেকে শুরু করে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে। এছাড়াও নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনে এই সংগঠনেরই শাখা হিসেবে কাজ করছে যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোট নামে আরেকটি সংগঠন। বিভিন্ন নারী নির্যাতনের শিকার হলে তার পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং মামলা পরিচালনায় সহায়তা করছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা সক্ষম হয়েছে।
তারুণ্যের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে এ সংগঠন। মূলত নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করে লিঙ্গভিত্তিক সমতা নিশ্চিত ও নারীর সুস্বাস্থ্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে গ্রামীণ নারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ করছে এটি। কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি ও মাসিককালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে গ্রামীণ নারীদের মাঝে কাজ করছে। বয়ঃসন্ধিকালে মা হিসেবে একজন নারী কেমন আচরণ তার মেয়ের সঙ্গে করবেন তা শিক্ষা দিচ্ছে।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরু ইয়ুথ প্ল্যানেটের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা এ বি এম মাহমুদুল হাসান শিক্ষার্থী থাকাকালীন প্রতিষ্ঠা করেন এটি।
ইয়ুথ প্ল্যানেটের যাত্রা নিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এ বি এম মাহমুদুল হাসান (শিবলী) বলেন, সময়টা করোনাকালীন সময়ে গ্রামের বাড়িতে বসে মোবাইল নিয়েই বেশি সময় কাটানো হতো। অনেকটা হঠাৎ করেই নারীদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে একটি ভিডিও সামনে আসলো। মাসিককালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে গ্রামীণ নারীদের অসচেতনতা এবং তা থেকে সৃষ্ট নানা রোগব্যাধী নিয়ে ভিডিওটি ছিল অনেক বেশি উদ্বেগের। এমন এক পরিস্থিতিতে মনে হলো কিছু একটা করা দরকার।
যেহেতু আমরা ২০১৫ সাল থেকেই নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছি, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করছি, নির্যাতনের শিকার নারীর পক্ষে আইনি লড়াই লড়ছি, তাই এবার নারীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। সমাজে যে ট্যাবু আছে তা ভাঙতে হবে। মাসিকের আলোচনাকে উন্মুক্ত করতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীরা যে সমস্যায় পড়ে তা নিয়ে আলোচনার জায়গা তৈরি করতে হবে। এমন ধারণা থেকেই ইয়ুথ প্ল্যানেট এর ‘গার্লস টক’ প্রকল্পের যাত্রা।
তিনি জানান, ‘গার্লস টক’ আয়োজনের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মাসিক সংক্রান্ত উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ তৈরি করছে ইয়ুথ প্ল্যানেট। সামাজিক বাধাকে ডিঙিয়ে নারীরা উপস্থিত হচ্ছেন সেই কর্মশালাতে। মাসিককালীন বিভিন্ন খাবার বা চলাফেরা নিয়ে গ্রামে কুসংস্কার আছে তা নিয়ে কথা বলছেন তারা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি ডাক্তারদের পরামর্শও নিচ্ছেন তারা। স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারকারীর সংখ্যা গ্রামে অনেক কম। আমাদের সার্ভেতে মাত্র ১০-১৫ শতাংশ গ্রামীণ নারীকে মাসিককালীন প্যাড বা হাইজিন মেইনটেইন করে কাপড় ব্যবহার করতে দেখা যায়। আমরা তাদের স্যানিটারি প্যাড কেন ব্যবহার করতে হবে বা রিইউজেবল প্যাড কীভাবে ব্যবহার করবে, কেন করবে তা শেখাচ্ছি। এমনকি রিইউজেবল প্যাড আমরা তাদের তৈরির পদ্ধতিও শেখাচ্ছি।
তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলছি যেন নিজের প্যাড নিজেই তৈরি করতে পারে। এছাড়াও সংগঠনের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে তারা সেই প্যাড সহজেই পাচ্ছেন সংগঠনের ভলান্টিয়ারদের কাছ থেকে। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, ঢাকার মোহাম্মাদপুর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম অঞ্চলে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ‘গার্লস টক’-এর মাধ্যমে প্রায় ১৭০০ নারীকে বয়ঃসন্ধি ও মাসিককালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় প্রশিক্ষিত করা হয়েছে বলে জানান মাহমুদুল হাসান।
সংগঠনটির নারী সদস্যরা স্যানিটারি প্যাড নিয়ে জানালেন প্রান্তিক পর্যায়ের নানা অভিজ্ঞতার কথা। তারা জানান, সচেতনতার অভাবে ও আর্থিক কারণে গ্রামীণ নারীরা স্যানিটারি প্যাড কিনতে পারেন না। ইয়ুথ প্ল্যানেটের ‘আমার প্যাড, আমার অধিকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে ইউনিসেফের নির্দেশিকা অনুসারে পুনঃব্যবহারযোগ্য প্যাড তৈরির প্রক্রিয়া গ্রামীণ নারীদের শেখানো হচ্ছে। এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো, নিজের প্যাড যেন নিজেরাই তৈরি করতে পারেন এবং প্রয়োজনে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১২০ জন এই প্রশিক্ষণ লাভ করেছে।
রিইউজেবল প্যাড তৈরির প্রশিক্ষণ শেষ করা একজন নারী সুরাইয়া বেগম জানান, বর্তমানে প্যাডের অর্ডার ইয়ুথ প্ল্যানেট থেকেই বেশিরভাগ আসে। প্যাড বানিয়ে তাদের কাছে দেওয়া হয় এবং প্রতি প্যাডে ১৫ টাকা পাওয়া যায়। এটা অন্যান্য পেশার পাশে গ্রামীণ নারীদের জন্য কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে সংগঠনটি জানায়, নারীর মাসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা ‘গার্লস টক’ মাসের প্রতি সপ্তাহে আয়োজিত হয়। প্রতিটি প্রোগ্রামে প্রায় শতাধিক প্যাড দরকার পড়ে। এক্ষেত্রে যারা প্যাড বানাতে পারেন তাদের কাছ থেকেই প্যাড কিনে নেওয়া হয়। সংগঠনটি প্যাডের আনুষঙ্গিক কাপড় সরবরাহ করে থাকে। মাঝেমধ্যে বেশি অর্ডার আসলে তারাই তা দ্রুত বানিয়ে দেয়।
মাসিককালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ক ফ্রি সার্টিফিকেশন কোর্সে সনদপ্রাপ্ত কিশোরী এশা তাজমীন বলেন, আমরা গ্রামে থাকি, মাসিক সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবার বা সমাজ থেকে কখনো কিছু শিখিনি। ইয়ুথ প্ল্যানেটের মাধ্যমে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানলাম যা আমাদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যসুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এমনকি আমরা নিজেরাই এখন বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধেও কাজ করছি ইয়ুথ প্ল্যানেটের হয়ে।
আরেক শিক্ষার্থী ঋতু জানান, লজ্জায় এগুলো নিয়ে কথাই বলতাম না। আর এখন আমি ইয়ুথ প্ল্যানেটের মাধ্যমে মাসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিষয়ক জরিপ করেছি গ্রামের নারীদের নিয়ে। গ্রামের অধিকাংশ অভিভাবক তার সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালীন সময় সম্পর্কে অবগত না, তাদের আচরণগত পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত না। মাসিককালীন স্বাস্থ্যসুরক্ষায় কেন প্যাড বা হাইজেন মেইনটেইন করে কাপড় ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে সংগঠন থেকে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জানান, আমাদের বৃহৎ পরিকল্পনা আছে। আমরা চাই এটিকে একটা সামাজিক ব্যবসায় রূপ দিতে। এতে যেমন গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে পাশাপাশি সংগঠনের স্থায়িত্ব বাড়বে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে মাসিক স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে। যেহেতু ইয়ুথ প্ল্যানেট একটি নন প্রফিট সংগঠন তাই আমরা হয়ত ভিন্নভাবে এটিকে সোশাল বিজনেসে রূপ দিতে পারি।
এছাড়াও কিশোরীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে ‘ফ্রি সার্টিফিকেশন কোর্স অন উইমেন্স রাইটস অ্যান্ড হেলথ’ চালু করেছে সংগঠনটি। এখন পর্যন্ত ১৬০ জন কিশোরী সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই কিশোরীদের দিয়েই ‘গার্লস স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং এলাকায় কোনো কিশোরীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার খবর শোনামাত্রই প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তা আটকে দিচ্ছেন তারা।
সব শেষে তরুণ এই সংগঠক জানান তার প্রত্যাশার কথা। তিনি আশা করেন- শুধু নারী নয়, বরং পুরুষদেরও জানতে হবে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে। ইয়ুথ প্ল্যানেট মনে করে, নারীর মাসিককালীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সবার মাঝে হওয়া উচিত এবং এ বিষয়ে যে নানা সামাজিক ট্যাবু আছে, সবার অংশগ্রহণে তা ভাঙা উচিত। নারীরা যেন পরিবারের বাবা ভাই বা অন্যান্য পুরুষ অভিভাবকদের কাছে নির্দ্বিধায় স্যানিটারি প্যাড চাইতে পারেন তা আমাদের উদ্দেশ্য। সামনের দিনে এই কার্যক্রম আরো বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়বে বলেই বিশ্বাস। আমাদের উদ্দেশ্য নারীর সুস্বাস্থ্য ও নারী নিপীড়নমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ করছ স গঠন র ব যবহ র যবহ র ক স গঠনট আম দ র ব ষয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।
বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।
বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।
বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ