জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সরকার পতন পর্যন্ত রাজপথে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী ও মডেল রুকাইয়া জাহান চমক। যদি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন না ঘটতো তাহলে আন্দোলনকারীদের এতদিনে দেশদ্রোহীতার অপরাধে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হতো বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।

শুক্রবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমনটা মন্তব্য করেন চমক। যেখানে তিনি আওয়ামী সমর্থকদের সরাসরি সতর্ক করেন।

চমক তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কোনো একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি ভালোবাসা আর গোটা দেশকে ভালোবাসা এক জিনিস না। দুটোকে মিলিয়ে ফেলবেন না।’

অভিনেত্রী লেখেন, ‘স্বৈরাচার সরকার ৫ অগাস্ট পতন না হলে আমরা যারা আন্দোলনে নেমেছিলাম তাদের দেশদ্রোহীতার অপরাধে এতদিনে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেন। সেই ভয় জেনেও আমরা নেমেছিলাম রাস্তায়। তাই জীবনের ভয় আমরা করি না।’

সবশেষে চমক লিখেছেন, ‘মৃত্যু নিশ্চিত সামনে আসলেও যেটা ন্যায় সেটাকে ন্যায়ই বলব, যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায়। তাই যারা এখনো ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, তারা দুইটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুম দেন। নিজের মুরগির ন্যায় প্রাণ বাঁচিয়ে আজীবন বিড়ালের ন্যায় বেঁচে থাকুন। আমরা বাঘের ন্যায় একদিন বেঁচে থাকতে পারলেও গর্বিত, ধন্যবাদ।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ