প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক সোমবার
Published: 9th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার বৈঠকে বসবে বিএনপি।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপির সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বার্তাও দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে কারা থাকছেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করে দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ দুই নেতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারাদেশে ভাঙচুর, সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি না হলেও অগ্রগতি হয়েছে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাঁদের বৈঠক ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে। তবে এখনো কিছু বিষয়ের মীমাংসা বাকি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরের এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার দীর্ঘ এ বৈঠক শেষে পুতিনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে অগ্রগতি অর্জনের জন্য আমাদের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। চুক্তি ‘শেষ পর্যন্ত’ তাঁদের ওপর নির্ভর করবে এবং তাঁদের সম্মত হতে হবে।
চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি নেই উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু আমরা তা সেখানে পেলাম না।’
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়েও তিনিও ‘আন্তরিকভাবে আগ্রহী’। এই যুদ্ধকে ‘ট্রাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য এই যুদ্ধের ‘মূল কারণগুলো’ নিরসন করতে হবে।
বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ইউক্রেন সংঘাত ছিল জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একটি স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য আমাদের এই সংঘাতের মূল কারণগুলো নির্মূল করতে হবে।’ তবে মূল কারণগুলো বলতে কী বুঝিয়েছেন, তার বিস্তারিত তিনি উল্লেখ করেননি।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়রা শান্তিপ্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার পথ বেছে নেবেন বলে আশা করছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শুভ কামনার স্বর প্রকাশের জন্য আমি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, উভয়পক্ষকেই ফলাফলের দিকে নজর দিতে হবে।
পুতিন আরও বলেন, ‘ট্রাম্প স্পষ্টত তাঁর দেশের সমৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগী। তবে তিনি এটাও বুঝেছেন, রাশিয়ারও নিজের স্বার্থ রয়েছে।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য ইউক্রেনকে বিপুল আধুনিক সমরাস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। কার্যত রাশিয়াকে সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে ‘একঘরে’ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন বাইডেন প্রশাসন। এ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসা রাশিয়া ইউক্রেনের একটি বড় অংশ দখল করে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনমন নিয়েও কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে কোনো বৈঠক হয়নি। দুই দেশের সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার যে দাবি করে আসছেন, তার সঙ্গেও একমত জানিয়েছেন পুতিন।
এখন সংঘাত থেকে সংলাপে ফেরার সময় উল্লেখ করে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, এ বৈঠক আরও অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।
পুতিন জানান, তিনি ও ট্রাম্প বেশ কয়েকবার ‘খোলামেলা’ ফোনালাপ করেছেন। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফও আলোচনা এগিয়ে নিয়েছেন।