ফতুল্লায় রূপায়ন টাউনে ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, হুমকি
Published: 9th, February 2025 GMT
ফতুল্লার ভুইগড় রূপায়ন টাউন আবাসন এলাকার বাসিন্দা এম এ হোসাইন রাজ নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার চাঁদাদাবিসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তোফায়েল হোসেন লিটন গংদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এম এ হোসাইন রাজ শনিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত তোফায়েল হোসেন লিটন ভূইগড় এলাকার মৃত.
এদিকে থানায় অভিযোগ করার পর থেকে লিটন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। সে উল্টো ব্যবসায়ী এম এ হোসাইন রাজকে থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী সরকারের পতনের পর নাজিমুদ্দিন চেয়ারম্যান পলাতক হবার পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ও কুতুবপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার ভাগিনা পরিচয় বহন করে ক্ষমতার দাপটে লিটন তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে রূপায়ন টাউন এলাকা নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এম এ হোসাইন রাজ অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ভূইগড় রূপায়ণ টাউনের একজন স্থায়ী বাসিন্দা এবং সেখানে কয়েকটি ফ্ল্যাট ক্রয় করে ১০ বৎসর যাবৎ ভোগ দখলে রয়েছেন। তোফায়েল হোসেন লিটন অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোকজন নিয়ে তার নিকট বিভিন্ন সময় অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করে এবং তাদের কথা মতো চলতে বলে।
ভুক্তভোগী রাজ তাদের দাবি মেনে না নেয়ায় তারা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের হুমকি প্রদানসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
এর সূত্রধরে গত শুক্রবার সকালের দিকে লিটন তার দলবল নিয়ে ভূইগড় রূপায়ন টাউনের ২৩নং বিল্ডিংয়ের নিচে রাজ এর নিকট অযৌক্তিক ভাবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না নিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যায়।
পরদিন শনিবার বেলা ১২ টার দিকে পুণরায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় এম এ হোসাইন রাজ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে লিটন ও তার সহযোগীরা মারধর করতে উদ্যত হয়।
একপর্যায়ে লিটন গং হুমকি দেয় চাঁদা না নিলে তারা রাজকে প্রাণনাশের হুমকিসহ তার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করবে যাতে রূপায়ন টাউন ছাড়তে বাধ্য করবে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এম এ হোসাইন রাজ জানান, লিটন ও তার সহযোগীদের হুমকিতে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন এখন ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। তিনি লিটন গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, লিটন একজন একরোখা বেপরোয়া ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে তার নিজের প্রভাব খাটাতে এলাকায় মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। তার গতিপথ রোধ করতে না পারলে ভূইগড় ও রূপায়ন টাউন এলাকায় অনেক ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সাথে সন্ত্রাসের নগরীতে পরিনত হতে পারে।
সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় লিটনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে জোড়ালো ভাবে আইনী পদক্ষেপ জরুরি বলে দাবি জানান রুপায়ন টাউনের বসবাসকারীরা।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল বলেন, প্রথমে যে অফিসারকে তদন্তের দায়িত্বে দেয়া হয়েছিলো তিনি অন্য একটি সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকায় কিছুক্ষন আগে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।