দেশের প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, “বাগানে নানা বর্ণে সুভাসিত ফুল যেমন বাগানে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, একটি দেশে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণে মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। দেশের প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। রাজনৈতিক অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, নিজ নিজ ধর্ম পালনসহ সব মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বহুধর্মীয় সংলাপবিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন মাল্টিফেইথ ডায়লগের (আইডব্লিওএমডি ২০২৫) সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মামুন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবদুল আজিজ।

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাল্টি ফেইথ নেইবারস নেটওয়ার্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. বব রবার্টস জুনিয়র, ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আইএসএনএ) চেয়ারম্যান ইমাম মোহাম্মদ মাজিদ, আইআরএফ সেক্রেটারিয়েট এর প্রেসিডেন্ট নাদিন মায়েনজা, ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল এনগেজমেন্ট এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস চেন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, গ্লোবাল মুসলিম অ্যাফেয়ার্সের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা সাইয়েদ মুক্তাদির প্রমুখ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ