কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি-ভারত সীমান্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার পর সীমান্ত এলাকার গাছের ওপর লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেওয়া হয়।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান সিসিটিভি খুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত সোমবার সকালে বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমানাপিলার ৯৭৮–এর ৯ এস সাবপিলারের পাশে ভারতের নো ম্যান্স ল্যান্ডে গাছের ওপর সিসিটিভি ক্যামেরাটি লাগায়। ওই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং সোমবার দিনভর বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা হয়নি। গতকাল দুপুরে দুই দেশের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়। রাত ১১টার পর ভারতীয় অংশের ওই গাছ থেকে বিএসএফ সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নেয়।

আরও পড়ুনকুড়িগ্রামের বাঁশজানি সীমান্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরাতে বিএসএফের সম্মতি১৬ ঘণ্টা আগে

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশজানি গ্রামের বাসিন্দা শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল দুই দেশের অধিনায়ক পর্যায়ে বৈঠকের পর রাতে বিএফএস সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে নেয়। এদিকে দুই দেশের সীমান্ত মসজিদের জন্য আমরা টিনের বেড়া দিয়েছিলাম সেটাও আমরা সরিয়ে নিয়েছি।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিজিবি ও বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে বৈঠকের পর বাঁশজানি সীমান্ত এলাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাটি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনকুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি
  • মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ