বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’
Published: 12th, February 2025 GMT
মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় চতুর্থ ধাপের ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ শুরু করেছে নৌবাহিনী।
আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় এই বিশেষ কম্বিং অপারেশ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
অপারেশনের আওতায় দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ জাল অপসারণে চারটি ধাপে এই অভিযান চলমান থাকবে। অভিযানে অংশ নিচ্ছে নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ।
বুধবার চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটির মিডিয়া বিভাগ থেকে কম্বিং অপারেশনের বিষয় নিশ্চিত করে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ চারটি ধাপে আগমী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি এসকল অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনী জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করা হয়। এসময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ছয়টি দোকান হতে অবৈধ ৩০ লক্ষ ৬৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লক্ষ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪ শত মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লক্ষ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭ শত টাকা।
তৃতীয় ধাপে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। উক্ত অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৫ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়।
অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে। অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ষ কম ব অব ধ জ ল মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
জলাবদ্ধতা নিরসনে ফতুল্লায় জামায়াতের উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
জলাবদ্ধতা নিরসনে ফতুল্লা উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে ফতুল্লা ভূইগড় হাজী পান্দে আলী স্কুল সড়কে এ অভিযান পরিচালতি হয়। অভিযানে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মী, জনপ্রতিনিধি, যুব সমাজ, স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
অভিযান উদ্বোধন করেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরাম এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার ।
তিনি বলেন, “জলাবদ্ধতা শহরবাসীর জন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।” সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ফতুল্লা এলাকাকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করে এলাকার জনপদকে একটি আধুনিক ও জলাবদ্ধতা মুক্ত জনপদে তৈরি করবো।
এসময় তিনি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার আহবান জানান সবাইকে।
ফতুল্লা উত্তর থানা আমীর গাজী আবুল কাশেম এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মুফতী জাহাঙ্গীর আলম।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং নিয়মিতভাবে এমন কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান।