পয়েন্ট ভাগাভাগি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার, বাড়ল শিরোপার অপেক্ষা
Published: 14th, February 2025 GMT
দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। জিতলেই শিরোপা, এমন সমীকরণে ফেভারিট ছিল আর্জেন্টিনাই। কারণ গ্রুপপর্বে ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লিওনেল মেসির উত্তরসূরিরা। অন্যদিকে, শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকতে মরিয়া ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো দলই জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ম্যাচটি ১-১ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে। ফলে শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণ হবে শেষ ম্যাচে।
বিরতির আগে ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন ক্লাদিও এচেভেরি। গ্রুপে ৬-০ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটিতেও জোড়া গোল করেছিলেন এচেভেরি। টুর্নামেন্টে তার গোল এখন ৫টি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাজিল। ৭৮ মিনিটে রায়ানের গোলে সমতায় ফেরে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এই গোলের পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে ব্রাজিল। এ সময় আর্জেন্টিনার ওপর আধিপত্য বিস্তার করেও খেলেছে তারা। তবে একাধিকবার কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
এই ড্রয়ের ফলে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ব্রাজিল, আর সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা। শিরোপার নিষ্পত্তি হবে আগামী রোববার। সেদিন ব্রাজিল মুখোমুখি হবে চিলির, আর আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে।
১২ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ও ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা—দুই দলই শিরোপার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক