সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিএনপির মোংলা পৌর শাখার আহ্বায়ক ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী। তার বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন নিয়ে দেওয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে শহরের মাদ্রাসা রোডে তার নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মো.
নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির এক জনসভায় সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছি। আমি বলেছিলাম— রাজনৈতিক কতিপয় ব্যক্তি পবিত্র কোরআন নিয়ে ভাওতাবাজি করে। এটি বলা আমার ভুল হয়েছে, যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বক্তব্য খন্ডিত ও বিকৃতি আকারে উপস্থাপন করে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই আমি মহান আল্লাহ ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ব্যাখ্যা দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে তিনি আবারও মহান আল্লাহ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চান এবং সবাইকে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?