Samakal:
2025-08-02@05:06:31 GMT

‘তাও তিস্তার একটা হিল্লা হউক’

Published: 17th, February 2025 GMT

‘তাও তিস্তার একটা হিল্লা হউক’

‘তিস্তায় তো হামার কপাল খাইচে বাহে। অন্তত দশবার বাড়ি ভাঙি নদীত গেইচে। জমি-জায়গাও শ্যাষ। এ্যালা মাইনসের কাম করি খাই। তারপরও চাই তিস্তা সমস্যার সমাধান হউক। তখন হামরা বাঁচি না থাকলেও নদীপারের মানুষ ভালো থাকপে।’ শত কষ্টের মাঝেও তিস্তা নিয়ে এমন স্বপ্নের কথা শোনালেন ষাটোর্ধ্ব রংপুরের গঙ্গাচড়ার বাগেরহাট আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা আব্দুস সবুর। 
গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নদীপারে অবস্থান কর্মসূচিতে স্ত্রী, দুই সন্তানসহ যোগ দেন তিনি। তাঁর মতো তিস্তার চরাঞ্চলে বসবাসকারী দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কাজকর্ম বন্ধ রেখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। রাতেও তারা সেখানে অবস্থান করবেন। সরেজমিন রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর সেতু এলাকায় দেখা যায়, কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ, খাবার তৈরির ব্যবস্থা এবং রাত্রি যাপনের জন্য বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। 

মহিপুর বাজার সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে সপরিবারে এসেছেন আব্দুস সবুর। তিনি জানান, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকার এক সময়ের সম্ভ্রান্ত কৃষক ছিলেন। এ পর্যন্ত ১০ বার নদীভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এখন তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা। 
পার্শ্ববর্তী জয়রামওঝা চরের বাসিন্দা সগির আলী বলেন, ‘এদ্দিন সবায় হামাক খালি আশা দিচে, কায়ও কোনো কাম করে নাই। এইবারের আন্দোলনে হামরা তিস্তাপারের সবায় থাকমো। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।’ 

ইছলী চরের দিনমজুর আবুল কাশেম বলেন, ‘এমনিতে তো খ্যায়া-না খ্যায়া দিন কাটে হামার। দুইদিন না হয় সউগ কাম-কাজ বন্ধ থুইয়া এ্যটেকোনা থাকমো। তাও তিস্তার একটা হিল্লা হউক।’ একই ধরনের কথা বলেন কলাহাছি চরের দিন মজুর আশেক আলী, মনছুর আলী, লোকমান মিয়াসহ প্যান্ডেলে অবস্থানকারী অনেকে।
মহিপুর এলাকার কৃষক হারুন অর রশিদ জানান, তিস্তা নিয়ে আন্দোলনে যোগ দিতে দিনমজুররা মাঠের কাজ বন্ধ রেখেছেন। ফলে বর্তমান সময়ে আলু উত্তোলন, তামাক পাতা কাটা ও বোরো ধানের চারা রোপণে কৃষি শ্রমিক মিলছে না। এতে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। 

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের নয়। এটি রংপুর অঞ্চলের তিস্তাপারের বঞ্চিত মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবিতে পরিণত হওয়ায় এতে নদীপারের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আশা করছি, এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে পারব, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ