হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হলো চ্যাট থিম, যেভাবে ব্যবহার করা যাবে
Published: 18th, February 2025 GMT
ব্যবহারকারীদের মেসেজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ‘চ্যাট থিম’ সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে চ্যানেল, গ্রুপ ও ব্রডকাস্ট মেসেজে চ্যাটের বাবল ও ব্যাকগ্রাউন্ডের রং সহজেই পরিবর্তন করা যাবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য মতে, চ্যাট থিম সুবিধা চালুর ফলে ব্যবহারকারীরা পছন্দমতো থিম বেছে নিতে বা নিজের মতো করে তৈরি করতে পারবেন। চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মিলিয়ে বা নিজেদের পছন্দমতো বাবলের রং পরিবর্তনের সুযোগও মিলবে। ব্যাকগ্রাউন্ড বা বাবলগুলো শুধু ব্যবহারকারীই দেখতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে নতুন এ সুবিধায় বেশ কয়েকটি প্রিসেট থিম ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে নিজেদের পছন্দমতো রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন থিমও তৈরি করতে পারবেন। এ ছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপে নতুন করে ৩০টি ওয়ালপেপার যুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারবেন অথবা নিজেদের গ্যালারি থেকে পছন্দের ছবি আপলোড করে চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করতে পারবেন।
সব চ্যাটের জন্য একই ডিফল্ট থিম নির্ধারণ করতে হলে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সেটিংস অপশনে যেতে হবে। এরপর চ্যাটস থেকে ডিফল্ট চ্যাট থিম অপশনে ক্লিক করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের জন্য আলাদাভাবে থিম পরিবর্তন করতে হলে আইওএস ব্যবহারকারীদের চ্যাট স্ক্রিনের ওপরে থাকা নামের ওপর ট্যাপ করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের চ্যাটের তিন ডট মেনুতে গিয়ে চ্যাট থিম অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র পছন দ
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। তাঁদের নিঃশেষে প্রাণদানের স্মৃতি আজ গভীর বেদনায় স্মরণ করবে জাতি। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীলনকশার শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
অমিত বিক্রম বাঙালির জীবনপণ যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় তখন ছিল কেবল দিনগণনার বিষয়। সেই অনিবার্য পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই চক্রান্ত করেছিল তারা। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদের সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের মিত্র এ দেশি রাজাকার, আলবদর বাহিনী। এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে পরে মিরপুরে রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটখোলা ও মিরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় যুক্ত মানুষের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অনেকের ছিল পিছমোড়া করে হাত ও চোখ বাঁধা। ভয়ানক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল শরীরে। তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের ছিল দুটি পর্যায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ প্রাজ্ঞজনেরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন উদিত যৌবনের বহু সম্ভাবনাময় তরতাজা প্রাণ। আজ তাঁদের স্মৃতির স্মরণ করা হবে সারা দেশে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচিশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং হুইলচেয়ারধারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।