সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের (কেএসরিলিফ) অর্থায়নে বাংলাদেশে দুস্থ ও দরিদ্রদের খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সৌদি দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।

আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে দেশের ২৩ জেলায় দুস্থ ও দরিদ্রদের মোট ১৫ হাজার ৮৬০টি খাদ্য ঝুড়ি (ফুড বাস্কেট) বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি খাদ্য ঝুড়িতে মোট ২৪ কেজি খাদ্য থাকবে। এর মধ্যে চাল ১০ কেজি, মসুর ডাল ৭ কেজি, ভোজ্য তেল তিন লিটার, লবণ এক কেজি ও চিনি তিন কেজি। সর্বমোট ১৫ হাজার ৮৬০ ফুড বাস্কেট ২৩ জেলায় বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেবে সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান ও সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) ড.

মোহাম্মদ শাকির হোসাইন।

অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সৌদি আরবের সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। খাদ্য ঝুড়ি প্রকল্প বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় সৌদি সরকারের আগ্রহ ও সম্প্রীতির একটি দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ হলো।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব থেকে আগত অতিথি আহমাদ বিন সালেহ আররেমাহ, খালিদ বিন আব্দুর রাহমান রাযী, আব্দুর রাহমান আলযেবেন, আব্দুর রাহমান আলমিগ্রেন এবং নাসির আল সাঈদ।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ে বাড়ছে কাজুবাদামের চাষ, চাঙা ব্যবসা

রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় আড়াই একর জমিতে কাজুবাদাম চাষ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা চিয়ালজল পাংখোয়া। ২০২১ সালে চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। এ বছর তাঁর বাগানের কিছু গাছে ফলন এসেছে।

চিয়ালজল পাংখোয়া প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৬০ কেজির মতো ফলন বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা দরে। কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করার পর এসব কাজুবাদাম প্রতি কেজি প্রায় দেড় হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাগানে বিক্রি করার মতো আরও ফলন রয়েছে জানিয়ে চিয়ালজল বলেন, ‘প্রথমবার খুব একটা আয় হবে, এমনটা বলা যাবে না। তবে বাগানের সব গাছে ফলন এলে বিক্রি করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে’।

বেশি লাভের আশায় চিয়ালজল পাংখোয়ার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজুবাদামের বাণিজ্যিক চাষাবাদে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে বেড়েছে কাজুবাদামের চাষ। এতে ফলন বাড়ায় জেলায় চাঙা হয়েছে কাজুবাদামের ব্যবসাও।

বাগানিদের কাছ থেকে কিনে আনা কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত করার জন্য রাখা হয়েছে কারখানায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ