বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ের ক্যানসার হাসপাতাল
Published: 20th, February 2025 GMT
চীনের কুনমিংয়ের তিনটি সর্বাধুনিক হাসপাতালকে বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় এবার বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য জন্য যুক্ত করা হচ্ছে কুনমিংয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালকে।
বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ ও চীন সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে মেলবন্ধনের বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে।
তাদের বৈঠকে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত চীনা বিনিয়োগকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলো অনন্যভাবে অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি ঢাকায় আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।
চীনা উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, চলতি বছর পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন ও প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।
উভয় পক্ষ বহুপক্ষীয় ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘের ব্যবস্থায় একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে বহুপক্ষীয়তার সুবিধা সবার দ্বারা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্জন করতে পারে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা ও পর্যটন চালু।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহয গ ত র জন য ক ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।