বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার শুরু হলো মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব। দেশব্যাপী প্রযোজনাকেন্দ্রিক নাট্যকর্মশালা থেকে আটটি বিভাগের নির্বাচিত ১৬টি নাটক নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্যোৎসব চলবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন। আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন শহীদজননী আইনুন নাহার (শহীদ নাঈমা সুলতানার মা)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র আসিফ মুনীর। সভাপতিত্ব করেন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে সন্ধ্যা সাতটায় মঞ্চস্থ হয় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা ‘ছিন্নমুকুট’। সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশ’ অবলম্বনে নাটকটির রূপান্তর ও নির্দেশনায় ছিলেন মো.

লাহুল মিয়া। রাত আটটায় জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা ‘পোস্টমর্টেম’ নাটক মঞ্চায়ন হয়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ফাহিম মালেক।  

শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় ‘নোনা কথন’ মঞ্চায়ন করবে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। নাটক রচনা ও নির্দেশনা ছিলেন এস এম লাতিফুল খাবীর। রাত আটটায় ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ মঞ্চায়ন করবে ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি। নাটকের নাট্যকার ও নির্দেশনায় থাকবেন ইরা আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনীর

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ট য ৎসব এক ড ম র শ ল পকল

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ