জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: ইবি উপাচার্য
Published: 22nd, February 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি, মুক্ত বাতাসে পদচারণ করতে পারছি। সুতরাং তাদের ভুলে যাওয়া যাবে না। তাদের আত্মত্যাগসহ জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সব অন্যায়ের মোকাবেলা করতে হবে।”
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, “আল-কুরআন বিভাগ প্রথমবারের মতো মুক্তভাবে এ অনুষ্ঠান করতে পেরেছে। সুতরাং আপনারা আপনাদের এ সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাবেন। আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করেছেন, সেটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা জ্ঞান। আমি প্রত্যাশা করি, মানুষ ও সমাজের কল্যাণে এ জ্ঞান বিতরণে আপনাদের প্রাণ নিবেদিত হবে।”
‘এসো কুরআনের ছায়াতলে’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো অ্যালামনাই ও পুনর্মিলনীর আয়োজন করে বিভাগটি। এদিন বিভাগটি বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, ক্বিরাত সন্ধ্যা ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. তাহির আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ এইচ এম ইয়াহিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. লোকমান হোসেন, বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র অ্যালামনাই নাজমুল হক সাইদী, ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী, বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা প্রমুখ।
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিভাগে ৩৮তম ব্যাচ অধ্যয়নরত। ইতোমধ্যে ৩৩টি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপ চ র য র রহম ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন