জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি, মুক্ত বাতাসে পদচারণ করতে পারছি। সুতরাং তাদের ভুলে যাওয়া যাবে না। তাদের আত্মত্যাগসহ জুলাই বিপ্লবকে সফল করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সব অন্যায়ের মোকাবেলা করতে হবে।”

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, “আল-কুরআন বিভাগ প্রথমবারের মতো মুক্তভাবে এ অনুষ্ঠান করতে পেরেছে। সুতরাং আপনারা আপনাদের এ সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাবেন। আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করেছেন, সেটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা জ্ঞান। আমি প্রত্যাশা করি, মানুষ ও সমাজের কল্যাণে এ জ্ঞান বিতরণে আপনাদের প্রাণ নিবেদিত হবে।”

‘এসো কুরআনের ছায়াতলে’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো অ্যালামনাই ও পুনর্মিলনীর আয়োজন করে বিভাগটি। এদিন বিভাগটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা, ক্বিরাত সন্ধ্যা ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.

নাছির উদ্দীন মিঝির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. শেখ মহিউদ্দিন। 

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. তাহির আহমেদ, অধ্যাপক ড. এ এইচ এম ইয়াহিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. লোকমান হোসেন, বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র অ্যালামনাই নাজমুল হক সাইদী, ডা. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী, বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজা প্রমুখ।

আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে বিভাগে ৩৮তম ব্যাচ অধ্যয়নরত। ইতোমধ্যে ৩৩টি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপ চ র য র রহম ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার সেরা তিনে স্টার্ক

চলমান অ্যাশেজে প্রথম দুই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার জয়ে ম্যাচসেরা মিচেল স্টার্ক। পার্থ ও ব্রিসবেনে দুই টেস্টে পেয়েছেন ১৮ উইকেট। আইসিসির সাপ্তাহিক র‍্যাঙ্কিংয়ে দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি। তিন ধাপ লাফিয়ে টেস্টে বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার-সেরা তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন স্টার্ক। ৮৫২ রেটিং পয়েন্টও তাঁর ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে সেরা।

ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ফিফটি পাওয়া স্টিভেন স্মিথ টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ লাফিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে ৪ রেটিং পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে এক ধাপ লাফিয়ে দুইয়ে নিউজিল্যান্ড কিংবদন্তি কেইন উইলিয়ামসন (৮২৭)। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি পান উইলিয়ামসন।

ব্রিসবেন টেস্ট অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি (১৩৮*) তুলে নেন জো রুট। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা রুটের (৮৯৮) সঙ্গে দ্বিতীয় উইলিয়ামসনের ব্যবধান ৭১ রেটিং পয়েন্টের। সেঞ্চুরি পাওয়ায় ব্যবধানটা বেড়েছে।

আরও পড়ুনকামিন্স তো ফিরেছেনই, অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে আরও যাঁরা আছেন৯ মিনিট আগে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেরা খেলোয়াড় বিরাট কোহলি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন। দুই ধাপ লাফিয়ে দুইয়ে উঠে আসা কোহলির সঙ্গে শীর্ষে থাকা রোহিত শর্মার মাত্র ৮ রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান। রোহিতের রেটিং পয়েন্ট ৭৮১।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে ১৫১ গড়ে ৩০২ রান করেন কোহলি। প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির পর শেষ ম্যাচে করেন ৬৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই সিরিজে দুটি ফিফটি পান রোহিত। ৪৮.৬৭ গড়ে করেন ১৪৬ রান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে স্মৃতি মান্ধানা, কী বললেন
  • ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, প্রথমবার মুখ খুললেন অভিষেক
  • ১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথমবার সেরা তিনে স্টার্ক