কৃষকদল নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতা
Published: 23rd, February 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর অবৈধভাবে বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতিকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে।
হামলার শিকার কৃষকদল নেতা আব্দুল করিম (৫০) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি। অপরদিকে, অভিযুক্ত মাহবুবুল হক চৌধুরী একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের চরমহিউদ্দিন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার কৃষকদল নেতা আব্দুল করিম অভিযোগ করে বলেন, “চর জুবলি ইউনিয়নে গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের প্রায় ৮০০ ঘর নির্মাণ করা হয়। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে ৪১টি ঘর নামে বেনামে মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয় বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক চৌধুরী। প্রতিটি ঘর দখল স্বত্ত্বে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে বিক্রি করেন তিনি। যখন ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়, তখন ঘটনাটি জানাজানি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি বাধা দিই এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে জানাই।”
এর জের ধরে মাহবুবুল হক ও তার সহযোগিরা শনিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে স্থানীয় চরমহিউদ্দিন বাজারে আমার পথ আটকায়। এক পর্যায়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমার সঙ্গে থাকা ১লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুল হক এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, “বিষয়টি থানায় কেউ অবহিত করেনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।”
সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন জানান, উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামে ভূমিহীনদের জন্য ৮২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ৪০টি ঘর খালি ছিল। ওই ঘর বন্দোবস্ত না পাওয়ায় সেগুলোতে কিছু লোক ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘরগুলো পুনরায় দখলে নেওয়া হয়।
ঢাকা/সুজন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষকদল ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে প্রার্থী হবেন কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা
নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলেন ছাত্রদল থেকে উঠে আসা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শরিফুল ইসলাম মোল্লা। শনিবার দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান, এই এলাকায় আমার জন্ম। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে আমাদের সন্তানদের জন্ম এই ফতুল্লা এলাকায়। ফতুল্লার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে আমাদের জীবন।
এই এলাকা আমাদের খুবই আপন সেই ১৯৮৮ সাল থেকে অত্র এলাকার সকল গ্রাম ও গঞ্জে আমি বিচরণ করেছি বিএনপি করায় কারনে। এই এলাকার বিএনপি নেতা থেকে শুধু করে সাধারণ জনগণ সবাই আমরা একই পরিবারের লোক।
তাই নতুন করে চিন্তা আমাদের করতে হচ্ছে আগামী দিনে আমরা ফতুল্লার সংসদ সদস্য ফতুল্লার সন্তানকে নির্বাচিত করব। কারন আমরা দেখেছি অতীতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে অন্য এলাকার অথবা অন্য জেলার নেতাকে এমপি নির্বাচিত করে ফতুল্লাবাসী সবসময় অবহেলিত।
ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য ফতুল্লার সন্তান এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত ফতুল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। এবার সুযোগ এসেছে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। অতএব ফতুল্লার সন্তান হিসেবে আমি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছি। আমি মেড ইন ফতুল্লা, মেড বাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শরিফুল ইসলাম মোল্লা দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৮৮ সালে কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক এ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক নির্বাচিত হই।
১৯৮১ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মাধ্যমে ফতুল্লা খানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। যে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মরহুম আবদুল মতিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রি মীর শওকত আলী, জনাব মির্জা আব্বাস, জনাব ফজলুল হক মিলন সহ অন্যানা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৯০এর গন আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং ফতুয়া বানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদে নামি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পথে নির্বাচন করি। ১৯৯৩ সালে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯৪ সাল নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক এবং একই সালে সম্মেলন করে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯৮ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হই (মাহবুবুল আলম ভারা শামসুজ্জামান দুদু কমিটি) (মির্জা ফখবুল ইসলাম শামসুজ্জামান দুদু কমিটি)। ২০০২ সালে পুনরায় জেলা কৃষক দলের সম্মেলনের মাধ্যমে ২য় বার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা দানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০২১ সালের অক্টোবরে ২য় বারের মত নারায়নগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করি এবং জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি (কাজী মনিরুজ্জামান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কমিটি)। ২০২১ সালে কৃষক দলের ঢাকা বিভাগের সদস্য সচিব। ২০২২ সালে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এবং প্রচার উপ-কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করি। এবং বর্তমানে কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির ১ম সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
আমি আপনাদের মাধ্যমে অত্র এলাকার জনগণের নিকট আকুল আবেদন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নের সুযোগ দিবেন।