জার্মান পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট৷ একটানা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল সকাল নাগাদ শেষ হবে পূর্ণ ভোট গণনা। খবর ডয়েচে ভেলের
তবে বুথ ফেরত জরিপ থেকে নির্বাচনের ফল সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এতে দেখা গেছে, রক্ষণশীল দল সিডিইউ/সিএসইউ ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি। দলটি পেয়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
বুথ ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন এসপিডি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এই দলটিকে ভোট দিয়েছে ১৬ শতাংশ জার্মান।
সিডিইউ/সিএসইউ প্রার্থী ফ্রিডরিখ মেৎর্সের হতে পারেন জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর। তারা হয়তো এসপিডি বা গ্রিনের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করবে। কিন্তু এএফডি’র কট্টর অবস্থানের কারণে তাদের এড়িয়ে চলছে সবকটি রাজনৈতিক দল৷ তাই জোট সরকারে দলটিকে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় ৬ কোটি৷ এবারের নির্বাচনে ৮৩-৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানির সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে এটি রেকর্ড।
গত নভেম্বেরে এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটিতে। জনমত জরিপে এগিয়ে আছে রক্ষণশীল দল সিডিইউ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ড ইউ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’