রাচিনের সেঞ্চুরিতে হেরে বাংলাদেশের সেমির আশা শেষ
Published: 24th, February 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে হারের পর সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা ‘খতম’ ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবু কাগজে-কলমে ছিল আশা। নিউজিল্যান্ডকে নাজমুল শান্তরা হারাতে পারলে জমে যেত গ্রুপ ‘এ’র শেষ চারের লড়াই। তা পারেনি বাংলাদেশ। রাচিন রবীন্দ্রর সেঞ্চুরিতে হেরেছে ৫ উইকেটে। পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নিয়ম রক্ষার ম্যাচ খেলতে নামবে।
রাওয়ালপিন্ডি বড় রানের উইকেট। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিশেল স্যান্টনার ও বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রানে থামেন শান্তরা। ওই রান নিউজিল্যান্ড ২৩ বল থাকতে তাড়া করেছে। তবে রাচিন রবীন্দ্র ছাড়া নির্ভার ব্যাটিং করতে পারেননি ব্ল্যাক ক্যাপসদের কেউ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি পায়। তানজিদ তামিম ২৪ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৪ রান করে আউট হন। কিউই স্পিনার ব্রেসওয়েলকে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। পরেই নির্ভার ব্যাটিংয়ে আশা দেওয়া মেহেদী মিরাজ ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১৩ রান করে আউট হন। পরে মাইকেল ব্রেসওয়েলকে উইকেট দেওয়ার ‘নেশায়’ ১১৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তাওহীদ হৃদয় ক্রিজে ধুঁকে ধুঁকে ২৪ বল খেলে ৭ রান করে ব্রেসওয়েলকে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন। মুশফিকুর রহিম ক্রিজে এসেই স্লগ সুইপে বড় শট খেলে ২ রান সীমানায় আউট হন। ব্রেসওয়েলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উইকেট বিলিয়ে দেন মাহমদুউল্লাহও। তিনি ১৪ বলে ৪ রান যোগ করেন। ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল শান্ত ১১০ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে এবং জাকের ৪৫ ও রিশাদ ২৬ রান করে সংগ্রহ দুইশ’ পার করেন।
জবাবে নামা কিউই শিবিরে শূন্য রানে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। ওপেনার উইল ইয়ংকে বোল্ড করেন তিনি। পরেই অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনকে আউট করেন নাহিদ রানা। নিউজিল্যান্ড তখন ১৫ রানে ২ উইকেট। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর সেট হওয়া জুটি ভেঙে দলকে ম্যাচে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। কনওয়ে দলের ৭৩ রানে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান।
কিন্তু রাচিন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ও টম ল্যাথামের সঙ্গে জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে নেন। ইনজুরি কাটিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের একাদশে ফেরা রাচিন ১০৫ বলে ১১২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ১২ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারা এই ব্যাটার কোন সুযোগই দেননি বাংলাদেশকে। ল্যাথাম ৫৫ করে রান আউট হন।
নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ব্রেসওয়েল ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে ২৭ ওভারের মধ্যে নিজের দশ ওভার শেষ করেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। উইলিয়াম ও’রোর্কি নেন ২ উইকেট। এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র সওয় ল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই ইংল্যান্ড, গড়ল বিব্রতকর রেকর্ডও
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে শেষ ওয়ানডেতেও হারল ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল ইংল্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত দুই কিউই পেসার জাকারি ফোকস ও ব্লেয়ার টিকনারের ব্যাটে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই (৩–০) করল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে এ নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বার ধবলধোলাই করল কিউইরা। প্রথম ধবলধোলাই করেছিল ১৯৮৪ সালে।
হারের এই ম্যাচে বিব্রতকর এক রেকর্ডও গড়েছে ইংল্যান্ড। এই সিরিজে তিন ম্যাচ মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৮৪ রান করেছেন। পুরুষদের ওয়ানডে সিরিজে বা টুর্নামেন্টে (যেখানে অন্তত তিনটি ইনিংসে ব্যাটিং করেছে) কোনো দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের এটাই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৮ এশিয়া কাপে, বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটসম্যান মিলে করেছিলেন ৮৯ রান।
তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভালো শুরু পেয়েছিল। ১২.৫ ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কনওয়ে ৩৪ রানে রানআউট হলে জুটিটি ভাঙে। রবীন্দ্রর শট বোলার জেমি ওভারটনের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকের স্টাম্পে লাগে। তখন কনওয়ে ছিলেন ক্রিজের বাইরে। একইভাবে আউট হয়েছেন টম ল্যাথামও। দুটি রানআউট এবং ওভারটন ও স্যাম কারেনের দারুণ বোলিংয়ে একটা সময়ে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনরেকর্ড গড়া বাবরের রান পাকিস্তানের জয়ে কাজে লাগে না—কথাটি কতটুকু সত্য৩ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ডের ১৯৬ রানে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্যারিল মিচেল আউট হলে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকেই হেলে পড়ে। তবে নবম উইকেটে দুই পেসার ফোকস ও টিকনারের ৩৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডই জয় পায়। ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও কারেন।
শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতল ২ উইকেটে