যুক্তরাজ্যে শীর্ষ রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ৪৩ শতাংশ নারী
Published: 25th, February 2025 GMT
যুক্তরাজ্যে ৩৫০টি বড় রাষ্ট্রীয় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে ৪৩ শতাংশের বেশি সদস্য নারী। সরকারের তৈরি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়াতে বেশি বেশি কাজ করতে হবে।
‘এফটিএসই উইম্যান লিডার্স রিভিউ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে এফটিএসইর (যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক পরিচিত পুঁজিবাজার) ৩৫০ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪০ দশমিক ২ শতাংশ।
এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী পর্ষদে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছেন। আগের বছর ছিল ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
এফটিএসইর ১০০ কোম্পানিতে ২০২৪ সালে পরিচালনা পর্ষদে নারী প্রতিনিধি ছিল ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ। শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীদের হার ৩৬ দশমিক ৬। উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় নারী প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে।
পরিচালনা পর্ষদে সেসব পদ রয়েছে, সেখানে অনির্বাহী পদও অন্তর্ভুক্ত। ওই সব পদে প্রধান নির্বাহীর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে না।
পরিচালনা পর্ষদে নারীদের সংখ্যা বাড়লেও এফটিএসইর ৩৫০ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী পদে নারীর সংখ্যা কমে গেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২১, ২০২৩ সালে ২০ এবং ২০২৪ সালে তা ১৯–এ নেমে এসেছে।
প্রধান নির্বাহী পদে নারীর সংখ্যা কমে গেলেও সার্বিক পরিস্থিতিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো যুক্তরাজ্যে নিবন্ধিত সরকারি কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোটা রাখার ব্যবস্থা নেই।
তবে আইনে বলা আছে, কোম্পানিগুলোর উচিত পরিচালনা পর্ষদে অন্তত ৪০ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখা।
এফটিএসইর ৩৫০ কোম্পানির মধ্যে তিন–চতুর্থাংশই ৪০ শতাংশের ওই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বা ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী রেচেল রিভস বলেছেন, ‘পরিচালনা পর্ষদে লিঙ্গভিত্তিক (জেন্ডার) সমতা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য, কিন্তু আমাদের নিজেদের এই কৃতিত্বে খুশি হয়ে চেষ্টা ছেড়ে দিলে হবে না। আমাদের অবশ্যই নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকায় যেতে যে বাধার দেয়াল, তা ভেঙে দিতে হবে, যেন সবচেয়ে প্রতিভাবানেরা যুক্তরাজ্যজুড়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
রেচেল রিভস যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন ৫০টি কোম্পানিতে পরিচালনা পর্ষদে নারী সদস্যদের হার ৩১ বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় কোম্পানির তুলনায় যা বেশ কম।
আরও পড়ুনকী করতে চলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস০৭ জুলাই ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।