সদ্য প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের জীবনেরও একটি অধ্যায় আছে, চোখে জল আনা সে অধ্যায়। দ্রোহ ও প্রেমের কবির সেই অদেখা অধ্যায় এবার পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা রুবেল আনুশ।
‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’ নামে নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন তিনি। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আব্রাহাম তামিম। এতে দেখা যায়, কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরীর সঙ্গে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন। দারোগার মেয়ের সঙ্গে স্কুলশিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সঙ্গে ঢাকায়। হেলাল হাফিজও চলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। তাঁর একমাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম ‘যে জলে আগুন জ্বলে!’ হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেনকে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বইজুড়ে কবির আকুতি; তাঁকে না পাওয়ার। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প।
নাটকটিতে হেলাল হাফিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ আহমেদ বোগদাদী ও প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তন্নি মাহমিদ তৃণা। নাটকটি সম্প্রতি গ্লোবাল টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব কাজীপাড়া এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, আলিফ পরিবহনের বাসটি পূর্ব কাজীপাড়ায় পৌঁছালে একদল ব্যক্তি হাতের ইশারায় সেটি থামায়। এ সময় তারা বাসটিতে উঠে চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটিয়ে নামিয়ে দেন। যাত্রীরাও বাস থেকে দ্রুত নেমে যান।
এ সময় দুর্বৃত্তরা বাসের সামনের কাচে একাধিক গুলি ছুড়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে পৌনে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, বাস কোম্পানির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ওই পরিবহনের কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।