রাজবাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর হামলা করে মাদক মামলার এক আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ওয়াহিদুল হাসান।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কাজীবাধা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ শেখের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ৩১০ পিস ইয়াবা ও চার বোতল ফেনসিডিলসহ ফরিদ শেখকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফরিদ শেখকে হাতকড়া লাগিয়ে গাড়িতে তোলার সময় তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

তোপের মুখে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ফরিদের হাতের হাতকড়া খুলে দিতে বাধ্য হন। এসময় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় এসআই ওয়াহিদুল হাসানকে। প‌রে পু‌লিশ অভিযান চা‌লি‌য়ে পু‌লি‌শের উপর আক্রমণ করার অভিযোগে ৬ জনকে আটক ক‌রে‌। 

তারা হলেন- মো.

আবুল কালাম আজাদ (৪৭), মো. মিন্টু শেখ (৫৫), আবুল কালাম আজা‌দের স্ত্রী মোসা. শেফালী বেগম (৪৩), মোসা. নাসিমা বেগম (২৮), মোসা. শিমু বেগম (২০) ও সোহাগী বেগম (২৫)। এদের সবার বাড়ি কাজীবাধা গ্রা‌মে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘ফরিদকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের পর তার পরিবারের নারী ও পুরুষ সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই ওয়াহিদুল হাসান আহত হন। তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’’

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন বলেন, ‘‘ফরিদ শেখ একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন থানায় ৯টি মাদক মামলা রয়েছে। আজ তার বাড়ি থেকে ৩১০ পিস ইয়াবা ও চার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুতই ফরিদ‌ ও তার স্ত্রী‌কে গ্রেপ্তা‌রের চেষ্টা চল‌ছে। এছাড়া সরকা‌রি কা‌জে বাধা ও পু‌লি‌শের উপর আক্রম‌ণের বিষ‌য়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রবিউল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফর দ শ খ

এছাড়াও পড়ুন:

চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়েন গৃহকর্মী, পরে মা-মেয়েকে হত্যা করেন: পুলিশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও মালামাল চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারকে (২০) ধরে ফেলেন গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজা (৪৮)। লায়লা ও তাঁর মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। তখন ছুড়ি দিয়ে তাঁদের দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্মী এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ইসলাম।

আরও পড়ুনমোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় গৃহকর্মী আয়েশা গ্রেপ্তার: পুলিশ৫ ঘণ্টা আগে

এর আগে আজ সকালে আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়ারচর থেকে স্বামী জামাল সিকদারসহ (২৫) গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। জামাল একই এলাকার বাসিন্দা ও আয়েশা আক্তার নরসিংদীর সলিমগঞ্জ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশের দাবি, মোহাম্মদপুরে ওই হত্যাকাণ্ডের পর আয়েশা স্বামীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কয়ারচরে যান।

আরও পড়ুনচার দিনই বোরকা পরে না হয় মুখ ঢেকে এসেছিলেন, তাই গৃহকর্মীর চেহারা পাচ্ছে না পুলিশ২০ ঘণ্টা আগে

এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানিয়েছেন, লায়লা ও তাঁর মেয়েকে তিনি কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আয়েশা ও তাঁর স্বামীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে আয়েশার স্বামী জামাল সিকদারের বরাতে পুলিশ জানায়, মা-মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না আয়েশার। স্বর্ণের গয়না ও কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আয়েশাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন লায়লা। ধরা পড়ার ভয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেন আয়েশা।

আরও পড়ুনমোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ঘটনার বিবরণে যা লিখেছেন বাদী০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গত সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী আ জ ম আজিজুল ইসলাম। তিনি লায়লার স্বামী ও নাফিসার বাবা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত সোমবার এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র চার দিন আগে বাসাটিতে গৃহকর্মীর কাজ নেন গ্রেপ্তার নারী। প্রতিদিনই ওই গৃহকর্মী বোরকা পরে নয়তো মুখমণ্ডল ঢেকে বাসাটিতে আসা-যাওয়া করেছিলেন। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন ওই গৃহকর্মী বোরকা পরে বাসায় যান। আর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর পরনে ছিল নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস।

আরও পড়ুনগৃহকর্মী এসেছিলেন বোরকা পরে, বেরিয়ে যান স্কুল ড্রেস গায়ে০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়েন গৃহকর্মী, পরে মা-মেয়েকে হত্যা করেন: পুলিশ