মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হীড বাংলাদেশের টিলা ভূমি ও লাউয়াছড়া বনে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগুন লাগার পর প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগুন নেভান বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে প্রায় দুই একর জায়গা পুড়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হীড বাংলাদেশের পশ্চিমে টিলা ভূমিতে দুপুরে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরবর্তীতে লাউয়াছড়া বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে হীড বাংলাদেশের টিলা ভূমি ও লাউয়াছড়া বনের প্রায় দুই একর জায়গা পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
স্থানীয়রা জানান, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বনে আগুন লাগিয়েছে। এই আগুনে বনের প্রাণিরা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। অনেক প্রাণি মারা যাবে। প্রাণিদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া বনের গাছ-গাছালি, লতাপাতা পুড়ে গেছে।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো.
এ বিষয়ে লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে হীড বাংলাদেশের জায়গায় আগুন লাগে। পরে আগুন লাউয়াছড়া বনের প্রায় এক একর জায়গা পুড়ে যায়। বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।”
ঢাকা/আজিজ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক