বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আন্দোলনরত ২৮৭ আউটসোর্সিং কর্মচারী বুধবার চতুর্থ দিনের মতো তাদের কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে খনির দাপ্তরিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। গত রোববার থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। 

বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের প্রতিনিধি আশরাফুল আলম জানান, ১৫-২০ বছর ধরে কয়লা খনিতে কাজ করছেন। চাকরি স্থায়ী না করায় তাদের বেতন ছাড়াও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

আরেক প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করলে উপদেষ্টা পরিষদ সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দেন। আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে আমরা কাজে যোগদান করি। কিন্তু ছয় মাসেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জিএম (প্রশাসন) মো.

সানাউল্লাহ জানান, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে কিছু অস্পষ্টতা থাকায় গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। মতামত এখনও হাতে না আসায় স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ওভার টাইম, উৎসব ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যাবতীয় সুবিধা বাতিল করা হয়। ওই বছর ৮ অক্টোবর কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ আপিল রিভিউ করে সময়ক্ষেপণ করছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খনি কর্তৃপক্ষের রিভিউ খারিজ করে আদালতের রায় বহাল রাখেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাণের গানে সালাহর উৎসব

শেষ বাঁশি বাজতেই নেচে-গেয়ে উৎসবে মাতেন সালাহ-অ্যালিসন-এলিস্টাররা। তবে পর্বটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক সবাইকে ডেকে মাঠের একটি গোলপোস্টের সামনে জড়ো করেন। আর্নে স্লটের নেতৃত্বে কোচিং স্টাফরাও যোগ দেন সেখানে। গ্যালারি সামনে রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেইনের মতো করে সারিবদ্ধভাবে দেয়াল বানিয়ে দাঁড়ান সবাই। পুরো এনফিল্ড তখন সমবেত কণ্ঠে গাইতে শুরু করে– You’ll Never Walk Alone...। অলরেডদের হৃদয় থেকে উৎসারিত এ গানেই পূর্ণতা পায় উৎসব।

এ গানের সঙ্গে সঙ্গে অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয় সেখানে। বিশ্বের কোনো স্টেডিয়াম ছুঁতে পারবে না এনফিল্ডের এই আবহ। এই আবহ তৈরি অলরেডদের বিশ্বাসে, বছরের পর বছর যারা কেউ কাউকে একা হাঁটতে দেয়নি। রোববার সকাল থেকেই এনফিল্ডের চারপাশে তৈরি হয়েছিল উৎসবের পরিবেশ। আতশবাজি ও লাল আবিরে রঙিন হয়ে উঠেছিল লিভারপুলের আকাশ-বাতাস। আগে থেকেই বন্দর শহরটির দেয়ালে দেয়ালে ঐতিহাসিক গানটির সঙ্গে ‘২০’ লেখা গ্রাফিতি আঁকা শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

ম্যাচ শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই এনফিল্ড চত্বর রীতিমতো অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর্নে স্লট, সালাহদের স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার সমর্থক। লাল জার্সি পরা কাতারে কাতারে সমর্থকদের মাঝখান দিয়ে লাল বাসে করে লিভারপুলের ফুটবলাররা স্টেডিয়ামের আঙিনায় প্রবেশ করেন অন্যরকম এক পরিবেশে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর ৩০ বছর ট্রফি জেতেনি তারা। পাঁচ বছর আগে ট্রফি জিতলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদযাপন হয়েছিল দর্শকশূন্য গ্যালারিতে। তাই এমন অনেক সমর্থক আছেন, যারা প্রিয় ক্লাবকে লিগ জিততে দেখেননি। সেই তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটা ছিল বেশি। 

২০তম শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব আর্নে স্লট দিয়েছেন সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। এমনকি তিনি সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে পুরো গ্যালারিকে নিয়ে ক্লপের নামে গানও গেয়েছেন। ২০১৫ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর ক্লপ তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটিকে। এর মধ্যে দুবার অবিশ্বাস্য লড়াই করেও মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যানসিটির কাছে শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাদের। ২০২০ সালে জিতলেও সমর্থকদের নিয়ে উল্লাস করতে পারেননি।

ক্লপের লিগজয়ী দলের সদস্য ছিলেন মোহামেদ সালাহ। এবার ভিন্ন স্বাদ পেয়েছেন মিসরীয় এ তারকা। শিরোপা জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শিরোপা জয়ের অনুভূতি অবিশ্বাস্য। গতবারের (২০২০) চেয়ে এবার শতভাগ ভালো ছিল। এটা অনেক বেশি আনন্দময়। এটা সত্যিই বিশেষ কিছু।’ 

প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্জেন্টাইন তারকা এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের জন্যও এ শিরোপা বিশেষ কিছু, ‘বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, এখন জিতেছি প্রিমিয়ার লিগ। আমার জন্য সত্যই এটা বিশেষ কিছু। সতীর্থদের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমাদের দলটি সত্যিই অসাধারণ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • প্রাণের গানে সালাহর উৎসব
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • আউটসোর্সিং এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়