‘ছবা’ সিনেমা চলার সময় প্রেক্ষাগৃহে আগুন
Published: 27th, February 2025 GMT
সিনেমা চলতে চলতে হলের পর্দায় আগুন লাগার ঘটনার সাক্ষী হল দর্শক। বুধবার বিকেলে ভারতের নয়া দিল্লির একটি শপিংমলের প্রেক্ষাগৃহে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ‘ছাবা’ সিনেমা প্রদর্শনের সময় পিভিআর সিনেমার পর্দার এক কোণে আগুন ধরে। ফলে হলের দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেক্ষাগৃহে পর্দার এক কোণায় আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো পর্দাজুড়ে। আর এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্রেক্ষাগৃহে।
হলের ভেতর থাকা দর্শকরা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে থাকে। সেই আওয়াজে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই দ্রুত বাহিরের দরজা দিয়ে বের হতে চান। ভিড়ের জন্য আর ঠেলাঠেলির কারণে বেড়ে যায় আতঙ্ক। এরপর দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় সিনেমা হল।
দিল্লির এক দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের কাছে বিকেল ৫টা বেজে ৪২ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে এএনআই সূত্রের খবর। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস ও এই সময়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।