রোজায় মেট্রোরেলে ইফতারের জন্য পানি বহন করা যাবে
Published: 1st, March 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের জন্য সন্ধ্যায় মেট্রোরেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে জনপ্রতি ২৫০ মিলিলিটার পানি বহন করা যাবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। এতেই পানি বহনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম রোজা থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে।
ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজানের সময় ইফতারে পানি পান করার জন্য প্রত্যেক যাত্রী মেট্রোরেল ও স্টেশন এলাকায় শুধু ২৫০ মিলিলিটার পানির বোতল বহন করতে পারবেন। তবে পানি যেন পড়ে না যায়, সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ব্যবহৃত পানির বোতল অবশ্যই প্ল্যাটফর্ম/ কনকোর্স/ প্রবেশ ও বাহির হওয়ার গেটে থাকা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই প্ল্যাটফর্ম, কনকোর্স ও মেট্রোরেলের ভেতর অন্য কোনো খাবার গ্রহণ করা যাবে না। শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে এবং শুক্রবারের সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।
রমজান মাসে অফিস সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, দিনের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছাড়বে। আর সেখান থেকে রাতে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টায়। অন্যদিকে মতিঝিল থেকে সকালে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সাড়ে ৭টায়। রাতে সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যাবে ৯টা ৪০ মিনিটে।
নতুন সূচি অনুসারে, উত্তরা থেকে সকাল ৭টা ৩১ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ব্যস্ত সময় (পিক আওয়ার) বিবেচনায় নিয়ে প্রতি ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। একইভাবে মতিঝিল থেকে ৮টা ১ মিনিট থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পিক আওয়ার হিসেবে প্রতি ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। বাকি সময় দুই দিক থেকেই ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজায় পিক আওয়ারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে; অর্থাৎ আগের চেয়ে ঘন ঘন ট্রেন চলবে এবং ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে। রোজার পরও বাড়তি ট্রেন অব্যাহত থাকতে পারে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ক আওয় র ম ন ট পর রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পরপর হিট গান, তারপরও ১৭ বছর কেন কাজ হয়নি হাবিব–অলিক জুটির
কিছু সম্পর্ক থাকে, যা বছরের ব্যবধানে মিলিয়ে যায় না, অপেক্ষা করে শুধু ফিরে আসার। হাবিব ওয়াহিদ এবং এস এ হক অলিক ঠিক তেমনই দুটি নাম। সংগীত–সিনেমা দুই ভুবনের এই দুজন মানুষের কাজের সম্পর্কটা দেড় যুগের। অডিওতে শ্রোতাপ্রিয় গান দিয়ে এই জুটির শুরু হলেও দীর্ঘ ১৭ বছর এই মাধ্যমে তাঁদের কাজ করতে দেখা যায়নি। তাই বিরতির পর আবার যখন তাঁদের জুটি ফিরছে, শ্রোতাদের নস্টালজিয়া যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। গানের খবর প্রকাশ নিয়ে হাবিব ওয়াহিদ ও অলিকের ফেসবুক পোস্টের দিকে তাকালে তেমনটা লক্ষ করা গেছে। দুজনের ভক্ত–শ্রোতারা যেন নতুন গানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
নাটক ও সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি এস এ হক অলিক গানও লেখেন। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি গানে সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন হাবিব ওয়াহিদ। সময়টা ২০০৭ সাল। শিরিনের ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’ অ্যালবামে বোনাস ট্র্যাক হিসেবে ছিল হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যান্সির গাওয়া ‘বলে তো দিয়েছি হৃদয়ের কথা’। গানটি প্রকাশের পরপরই ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয়তা। পরে গানটির সেই ঢেউ গিয়ে লাগে কলকাতার চলচ্চিত্রেও। টলিউডের ‘বিন্দাস’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয় গানটি, বড় পর্দায় তাতে ঠোঁট মেলান দেব ও শ্রাবন্তী। এপার বাংলার সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও গানটি দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।
পরের বছর, ২০০৮ সালে, হাবিবের জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘বলছি তোমাকে’তে অলিকের লেখা নতুন তিনটি গান জায়গা পায়। ‘বলো কেন এমন হয়’ ও ‘জোছনা কথা বলো না’—দুটি গানেই কণ্ঠ দেন হাবিব। একই অ্যালবামে হাবিবের সুরে সংগীতশিল্পী বাবা ফেরদৌস ওয়াহিদ গেয়েছিলেন ‘কী নামে ডাকব তোমায় নীল জোছনা’।