সাধারণত সাদামাটা টি-শার্ট ও জিনস পরতেই দেখা যায় ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গকে। তবে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের ৪০তম জন্মদিনে নিজেকে ভিন্ন এক রূপে তুলে ধরলেন তিনি। এদিন জাকারবার্গ হাজির হয়েছিলেন ঝলমলে নীল রঙের এক বিশেষ জাম্পস্যুটে। এই জাম্পস্যুট পরেছিলেন মার্কিন গায়ক ও গীতিকার বেনসন বুন।

গত শনিবার ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও শেয়ার করেন জাকারবার্গ। সেখানে দেখা যায়, প্রথমে কালো টাক্সিডো পরে মঞ্চে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর দুই সহকারীর সহায়তায় নাটকীয় ভঙ্গিতে টাক্সিডো খুলে ফেলতেই বেরিয়ে আসে ঝলমলে নীল জাম্পস্যুট। উপস্থিত অতিথিরা মুহূর্তেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এমনকি স্ত্রীর জন্য গানও পরিবেশন করেন জাকারবার্গ। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ বেনসন বুন, এই অসাধারণ জাম্পস্যুট ও নতুন গানের জন্য!’

ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই প্রতিক্রিয়া জানান বেনসন বুন। মন্তব্যের ঘরে তিনি লেখেন, ‘নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছি না!’ এমন মন্তব্যের জবাবে জাকারবার্গ মজার ছলে লেখেন, ‘ভাবছিলাম, পিয়ানোর ওপর থেকে একটা ব্যাকফ্লিপ দেওয়ার কথা!’

শুধু বেনসন বুনই নন, ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আরও অনেকে। জেফ বেজোসের বাগ্‌দত্তা লরেন সানচেজ মন্তব্য করেছেন, ‘এটা অসাধারণ! ওয়াও!’ জাকারবার্গ তাঁর উত্তরে উচ্ছ্বাস প্রকাশের ইমোজি ব্যবহার করেছেন। প্রিসিলা চ্যানও জন্মদিনের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তাঁর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, তিনি বেশ কয়েকবার পোশাক পরিবর্তন করেছেন। পাশাপাশি স্বামীর ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্সও বেশ উপভোগ করেছেন।

এর আগেও স্ত্রীকে চমকে দিয়েছেন জাকারবার্গ। গত বছর তিনি বিখ্যাত ভাস্কর ড্যানিয়েল আরশামের তৈরি করা প্রিসিলা চ্যানের বিশাল এক ভাস্কর্য তাঁদের বাড়ির উঠানে স্থাপন করেন।
সূত্র: টাইমসঅবইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব নসন ব ন কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ