বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কিশোরগঞ্জের একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রবিবার (২ মার্চ) পৃথক স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ (৫২) এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর রাজকুন্তি গ্রামের জিয়া উদ্দিন (৪৮)।

র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় র‌্যাব প‌রিচয়ে শিক্ষার্থী‌কে অপহরণ, গ্রেপ্তার এক

পটুয়াখালীতে ইয়াবা ও ১৬ মাদক পারচারকারী আটক

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ ও বিস্ফোরক আইনে গত বছরের ২৩ অক্টোবর করিমগঞ্জ থানায় মামলা হয়।

অপরদিকে, দুুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কালটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়া উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ ও বিস্ফোরক আইনে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা হয়।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ক শ রগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ