কূটনীতিক ও রাজনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল আয়োজন করেছে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। সেখানে ইফতার-পূর্ব বক্তব্যে জি এম কাদের বলেছেন, দেশ ও জাতি কঠিন সময় পার করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার ওই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

জি এম কাদের আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। ইফতার-পূর্ব বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঐক্য বাংলাদেশের জন্য সব সময়ই শক্তি। বাঙালি তাদের সব আন্দোলন-সংগ্রামে চরম সফলতা পেয়েছে, যখন পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে। কিন্তু এখন আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, অহেতুক দ্বন্দ্ব ঐক্য বিনষ্ট করছে।’ তিনি বলেন, ‘এমন বিভাজন দেখছি, যা সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করছে। এমন কার্যকলাপ চোখে পড়ছে, যা আমাদের সমৃদ্ধ ও সহনশীল ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।.

..আমাদের অবশ্যই ঐক্যের পথকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে।’

জাপার চেয়ারম্যান বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সব সময়ই ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ নীতি লালন করেছে। এটি হলো সেই পথপ্রদর্শক আলো, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে আলোকিত করে।

ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন যোগ দেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নরওয়ে, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, জার্মানি, ইইউ, ইরান, কসোভো, ইতালি, আর্জেন্টিনা, ভাটিকান সিটির কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতিকদের মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাসদ (ইনু) যুগ্ম সম্পাদক মো. মহসিন, ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব মাহমুদুল হক হাফেজ্জী, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এম ক দ র ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

৬ মাসে ৮৭ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় যুক্তরাষ্ট্রের

২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক থেকে ৮৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করেছে। মার্কিন অর্থদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ মাসিক তথ্য অনুসারে, জুনের শেষ পর্যন্ত ৮৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি শুল্ক রাজস্ব আয় হয়েছে, যা ২০২৪ সালে সংগৃহীত ৭৯ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি।

হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী মার্কিন অর্থনৈতিক নীতিমালাকে ছিঁড়ে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি দেশের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে যেখানে বিদ্যমান শুল্কের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাম্প যে সর্বোচ্চ হার আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তার চেয়েও যথেষ্ট কম।

জুন মাসে শুল্ক রাজস্ব ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারিতে সংগৃহীত পরিমাণের প্রায় চারগুণ বেশি।

ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের উপর তিনি যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন তা আমেরিকাকে ‘আবার মহান ও ধনী’ করে তুলছে। কারণ  ১ আগস্টের সময়সীমার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে ওয়াশিংটনের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “এক বছর আগে আমেরিকা একটি মৃত দেশ ছিল, এখন এটি বিশ্বের যে কোনো জায়গায় সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশ।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ