চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলে পরিবর্তন আসবে তা অনুমেয় ছিল। সামনে তাদের নিউ জিল‌্যান্ড সফর। এই সিরিজের জন্য অধিনায়কও পরিবর্তন করেছে পিসিবি।

অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি দলে রাখেনি তারা। বাদ পড়েছেন অন্যতম সেরা বাবর আজমও। এছাড়া, ওয়ানডে দলে জায়গা হারিয়েছেন পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি।

নিউ জিল‌্যান্ড সফরে পাকিস্তান পাঁচ টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডে খেলবে। দুই দলের জন্য আলাদা আলাদা দল দিয়েছে পিসিবি।

রিজওয়ানের জায়গায় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন সালমান আলী আগা। রিজওয়ান অধিনায়ক হওয়ার পর পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দল জিততে পারেনি একটিতেও। তার অনুপস্থিতিতে সালমানের অধিনায়কত্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। এবার তার ওপর নিউ জিল্যান্ড সিরিজে ভরসা রাখল পিসিবি।

টি-টোয়েন্টি দলে বেশ পরিবর্তন এনেছে। মোহাম্মদ হারিস ফিরেছেন। নেওয়া হয়েছে ২২ বছর বয়সী হাসান নাওয়াজকে। এছাড়া, প্রতিশ্রুতিশীল আব্দুল সামাদের ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা। ফেরানো হয়েছে খুশদিল শাহকে।

টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে দলে তেমন পরিবর্তন আসেনি। জায়গা ধরে রেখেছেন রিজওয়ান ও বাবর। দলে ফিরেছেন আবদুল্লাহ শাফিক। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন পেসার আকিফ জাভেদ। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।

পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ আকিব জাভেদ বাবর ও রিজওয়ানকে নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের নতুন ও তরুণ খেলোয়াড়দের আনা এবং আমরা যে ক্রিকেট খেলছি, তার ধরনে পরিবর্তন দরকার। অনেক দল তাদের টি-টোয়েন্টি দলগুলোকে অন্য সংস্করণ থেকে আলাদা করেছে, ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত আলাদা।”

তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন আকিব, ‘‘বাবর, শাহিন (আফ্রিদি), রিজের (রিজওয়ান) মতো শীর্ষ খেলোয়াড়রা এত বেশি সফর করে যে, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় থাকে না। এখন তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় আছে। যতক্ষণ না চার দিনের ম্যাচ খেলবেন, ততক্ষণ টেস্ট বা ওয়ানডেতে উন্নতি করতে পারবেন না।’’

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল: হাসান নাওয়াজ, ওমাইর ইউসুফ, মোহাম্মদ হারিস, আব্দুল সামাদ, সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), ইরফান নিয়াজি, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আব্বাস আফ্রিদি, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আলী, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম, আবরার আহমেদ ও উসমান খান।

পাকিস্তানের ওয়ানডে দল: মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), সালমান আলী আগা, আবদুল্লাহ শাফিক, আবরার আহমেদ, আকিফ জাভেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ইমাম-উল-হাক, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ আলি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, ইরফান নিয়াজি, নাসিম শাহ, সুফিয়ান মুকিম ও তৈয়ব তাহির।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ র জওয় ন

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ