চাঁদা দাবির অভিযোগে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়ার সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না, এক কার্যদিবসের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানা হয়। এতে বলা হয় সাংগঠনিক আচরণবিধি ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনের কারণে গোলাম কিবরিয়ার সদস্য পদ স্থগিত করা হলো।

এর আগে শুক্রবার রাতে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাঁর পরিচিত একজন ব্যক্তি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবসা করেন। তাঁর কাছে গোলাম কিবরিয়া ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। বিষয়টি পরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ককে জানানো হয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে আমরা তাঁর (গোলাম কিবরিয়ার) ব্যাপারে অভিযোগ পাই। পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকভাবে সেটার সত্যতা পেয়ে তাঁর সদস্যপদ স্থগিত করি এবং কেন তাকে বহিষ্কার করা হবে না, এ বিষয়ে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল ম ক বর য় র র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ