সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ১টি পদে মোট ২৫ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পদের সংখ্যা হ্রাস/বৃদ্দি হতে পারে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদটির যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন আপনিও। পদগুলোর জন্য আবেদন করা যাবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।

পদের নাম ও পদ সংখ্যা

১.

মিটার রিডার কাম-ম্যাসেঞ্জার

পদসংখ্যা: ২৫

ধরন: তিন বছর মেয়াদি চুক্তিভিত্তিক চাকরি

বেতনস্কেল: ২০১৬ সালের বেতনকাঠানো অনুযায়ী মাসিক মূল বেতন ১৪৭০০ থেকে ২৬৪৮০ টাকা। এ ছাড়া অন্য ভাতা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী।

আরও পড়ুনপানি উন্নয়ন বোর্ডে বড় নিয়োগ, পদ ২৭৭, নারীদের আবেদনে উৎসাহিত করা হয়েছে৬ ঘণ্টা আগে

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

ক) এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

খ) প্রার্থীকে অবশ্যই সৎ, বিশ্বস্ত এবং উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।

গ) প্রার্থীকে চারটি মৌলিক গাণিতিক প্রক্রিয়া যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

ঘ) প্রার্থীর সুন্দর শারীরিক গঠন এবং অবশ্যই সুঠাম দেহের অধিকারীসহ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হতে হবে।

ঙ) প্রার্থীর হাতের লেখা অবশ্যই সুন্দর হতে হবে।

চ) গ্রাহকগণের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। ছ) প্রার্থীর নিজস্ব বাইসাইকেল থাকতে হবে এবং বাইসাইকেল চালনায় পারদর্শী হতে হবে।

জ) গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মিটার রিডিং গ্রহণ ও বিল বিতরণের কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে এবং পবিসের লক্ষ্য ও কর্মসূচি সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করতে হবে।

ঞ) পবিসে কর্মরত লাইন শ্রমিকগণ মিটার রিডার কাম-ম্যাসেঞ্জার পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবেন।

ট) নিরাপত্তা জামানত হিসেবে পবিসের ক্যাশ শাখায় ১০,০০০.০০ (দশ হাজার মাত্র) টাকা জমা প্রদান করতে হবে।

আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ১০ ঘণ্টা আগেচাকরির আবেদনের বয়স

প্রার্থীর বয়স ৫ মার্চে ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। তাঁদের নিঃশেষে প্রাণদানের স্মৃতি আজ গভীর বেদনায় স্মরণ করবে জাতি। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীলনকশার শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

অমিত বিক্রম বাঙালির জীবনপণ যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় তখন ছিল কেবল দিনগণনার বিষয়। সেই অনিবার্য পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই চক্রান্ত করেছিল তারা। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদের সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের মিত্র এ দেশি রাজাকার, আলবদর বাহিনী। এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে পরে মিরপুরে রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটখোলা ও মিরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় যুক্ত মানুষের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অনেকের ছিল পিছমোড়া করে হাত ও চোখ বাঁধা। ভয়ানক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল শরীরে। তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে।

শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের ছিল দুটি পর্যায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ প্রাজ্ঞজনেরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন উদিত যৌবনের বহু সম্ভাবনাময় তরতাজা প্রাণ। আজ তাঁদের স্মৃতির স্মরণ করা হবে সারা দেশে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

কর্মসূচি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং হুইলচেয়ারধারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ