মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরলেন সেন্টু ঘোষ (৪০)। এতে আহত হয়েছেন বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষ (৩২)।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সিরাজদীখান-ইছাপুরা সড়কের লালবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সেন্টু ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কইড়াইল ইউনিয়নের কইড়াইল গ্রামের সুভাষ ঘোষের ছেলে এবং সিরাজদীখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গ্রামের রঞ্জিত ঘোষের মেয়ের জামাই। অহত প্রসেনজিতের বাড়ি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার রুহিতপুর গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে সেন্টু ঘোষ ও তার বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষ (৩২) সিরাজদীখান থেকে মোটরসাইকেলে করে ইছাপুরায় রওনা দেন। পথে লালবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন সেন্টু ঘোষ ও প্রসেনজিৎ ঘোষ। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সেন্টু ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার বন্ধু প্রসেনজিৎ ঘোষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

সুলতানা নাসরিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই সেন্টু ঘোষ মারা যান। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ