ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেডের আঘাতে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট
Published: 9th, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেডের আঘাতে ৩ লাখ ১৬ হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোল্ড কোস্ট শহর, সেখানে ১ লাখ ১২ হাজারেও বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। খবর রয়টার্সের
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্রিসাফুলি বলেছেন, কুইন্সল্যান্ডের ইতিহাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
আরো পড়ুন:
সেমি ফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেন শর্ট
অস্ট্রেলিয়ায় রোজা শুরু শনিবার
ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড কুইন্সল্যান্ড উপকূলে স্থানীয় সময় শনিবার (৮ মার্চ) আছড়ে পড়ে। অতিক্রান্তীয় এই ঘূর্ণিঝড় এখন গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলফ্রেডের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে গাছপালা উপড়ে পড়েছে, বিদ্যুতের লাইন ভেঙে গেছে ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী ব্রিসবেন ঝড়ের আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে প্রতিবেশি রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসেও প্রভাব পড়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, “আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বাতাসের কারণে কুইন্সল্যান্ড এবং উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।”
অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, “আগামী দিনগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়ো বাতাস এবং উপকূলীয় ঢেউয়ের প্রভাব অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।”
দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্রিসবেনের পাশাপাশি কুইন্সল্যান্ডের আঞ্চলিক কেন্দ্র ইপসউইচ, সানশাইন কোস্ট এবং জিম্পিতেও বন্যা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া ব্যুরোর সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, রাজ্যে প্রায় ৯০ কিলোমিটার (৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসে বন্যার পানিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে লিসমোর শহরের বাসিন্দাদের সাহায্য করতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুটি গাড়ির সংঘর্ষে ঘটনায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘ র ণ ঝড় আলফ র ড
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।