দুবাইয়ে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল, যেখানে মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এই বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচকে ঘিরে জমে উঠেছে অবৈধ বেটিং চক্রের তৎপরতা। ম্যাচ ঘিরে জুয়াড়িরা ইতোমধ্যে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বাজি ধরেছে বলে জানিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিটি বড় ক্রিকেট ম্যাচে ভারতের জুয়াড়ি চক্র সক্রিয় থাকলেও আইসিসির কোনো ইভেন্ট হলে তৎপরতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এবার ফাইনাল ম্যাচটি দুবাইয়ে হওয়ায় আন্তর্জাতিক বুকিদের প্রভাবও চোখে পড়ার মতো। ভারতের কুখ্যাত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ‘ডি কোম্পানি’ও এই ম্যাচ ঘিরে সক্রিয় বলে ধারণা করছে গোয়েন্দারা।

ভারতীয় পুলিশের অপরাধ বিভাগ ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল ম্যাচ ঘিরে বেটিংয়ের অভিযোগে অন্তত পাঁচজন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে পারভিন কোচার ও সঞ্জয় কুমার নামে দুই বুকি সেমিফাইনাল ম্যাচে জুয়ায় সক্রিয় ছিলেন। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপসহ বেটিংয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ।

এনডিটিভি জানিয়েছে, পারভিন কোচারের একটি ‘মাস্টার আইডি’ রয়েছে, যার মাধ্যমে বেটিং ওয়েবসাইটে অন্যদের জন্য আইডি তৈরি করা হয়। প্রতিটি লেনদেনে একটি সিন্ডিকেট ৩ শতাংশ কমিশন পায়। একই সঙ্গে ফোন কলের মাধ্যমেও অফলাইন বেটিং চালানো হয়।

সূত্র বলছে, পারভিন কোচার প্রতি ম্যাচে প্রায় ৪০ হাজার রুপি লাভ করতেন। ৩৫ হাজার রুপি ভাড়ায় একটি ঘর নিয়ে তিনি বেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, পুরো নেটওয়ার্কটি দুবাই থেকে পরিচালিত হয়—সেই শহরেই আজ হতে যাচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল ম য চ

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • পুলিশের তৎপরতায় দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
  • ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা