খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই তিনি ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সোচ্চার। ’৯০ দশকে যখন ফিক্সিং নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে তোলপাড়, তখন যে কজন ক্রিকেটার প্রতিবাদী আওয়াজ তুলেছিলেন, রশিদ লতিফ তাঁদের একজন। পরে লতিফ বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন, এর জন্য নাকি তাঁকে খেসারতও দিতে হয়েছে অনেক। বারবার দল থেকে বাদ পড়েছেন। ক্যারিয়ার যেভাবে এগোনোর কথা ছিল, সেভাবে এগোয়নি।
সেই একই দাবি আবারও করলেন পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার। ফিক্সিংয়ের কারণে শুধু তাঁর ক্যারিয়ারের নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটেরও বিশাল ক্ষতি হয়েছে, এমন মন্তব্য করে লতিফ আরও বলেছেন, সেই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান দল।

আরও পড়ুনবিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, বাকিরা কে পাবেন কত টাকা১০ ঘণ্টা আগে

 লতিফ এই কথাগুলো বলেছেন পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও টিভিতে ‘হারনা মানা হ্যায়’ নামে এক ক্রিকেট শো-তে। মূলত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল সেই অনুষ্ঠানে। যেখানে সঞ্চালকের সঙ্গে অতিথি হিসেবে লতিফ ছাড়াও ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির ও সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।

জিও টিভিতে ‘হারনা মানা হ্যায়’ ক্রিকেট শো-তে মোহাম্মদ আমির ও আহমেদ শেহজাদের মাঝে রশিদ লতিফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ