Prothomalo:
2025-11-02@18:59:24 GMT

  যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি

Published: 12th, March 2025 GMT

নবীজি (সা.) অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে সাহরি গ্রহণ করতেন। জাঁকজমকহীন স্বাভাবিক সাহরি খাওয়া তার অভ্যাস ছিল। তিনি ভেজা খেজুর দিয়ে সাহরি করা পছন্দ করতেন। কখনো খেজুরের সঙ্গে তিনি দুধও নিতেন। (হাকাযা কানান নাবিয়্যু সা. ফি রমাদান, ৩৫)

আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) সাহরির সময়ে আমাকে বললেন, ‘আনাস, আমি রোজা রাখতে চাই, আমাকে কিছু খাবার দাও।’ আমি তার সামনে শুকনা খেজুর এবং একটি পাত্রে পানি উপস্থিত করলাম। বেলালের (প্রথম) আজানের পর তিনি সাহরি গ্রহণ করেছিলেন। (নাসায়ি, হাদিস: ২১৬৭)

আবু হোরাইরা (রা.

) থেকে বর্ণনা আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের উত্তম সাহরি শুকনো খেজুর।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৪৫)

 রাসুল (সা.) সাহরি করতেন অনেক দেরিতে—সুবহে সাদিকের কিছু পূর্বে সাহরি সমাপ্ত করতেন। রমজানে কখনও ‘কিয়ামুল লাইল’র সময় এমনও হতো যে, উপস্থিত সাহাবিগণ ভাবতেন, সাহরি খাবারের সময় বুঝি আর পাওয়া যাবে না। এমনও হয়েছে, বেলাল (রা.) ফজরের আজান দেওয়ার পূর্ব লগ্নেও দেখছেন তিনি খাচ্ছেন।

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর হাসি২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সুতরাং, সাহরিতে নবীজির আমল ছিল শেষ সময়ে খাওয়া। তিনি এর কারণও বলেছেন। জায়েদ বিন সাবেত (রা.) বলেন, ‘আমরা নবীজির (সা.) সঙ্গে সাহরি খেলাম, এরপর তিনি নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি বললাম, সাহরি ও আজানের মধ্যবর্তী সময়ের দূরত্ব কতটা? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত পরিমাণ। বিলম্বে সাহরি গ্রহণ রোজার জন্য সহজ, রোজাদারের জন্য প্রশান্তিকর; এবং বিলম্বে সাহরি গ্রহণের কারণে ফজরের নামাজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯২১)

আরও পড়ুন নবীজি (সা.)-এর কান্না২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাধারণত ৫০টি মধ্যম দৈর্ঘ্যের আয়াত পড়তে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। তাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ও সাহাবায়ে কেরাম ফজরের নামাজের এইটুকু সময় পূর্বে সাহরি খাওয়া শেষ করতেন। সাহরিতে দেরি করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নবুওয়াতের ৭০ ভাগের এক ভাগ হলো দেরিতে সাহরি খাওয়া এবং ইফতারে জলদি করা। ইফতারের নির্দিষ্ট সময় হলে ইচ্ছা করে বিলম্ব না করা।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, ৪/২৩২)

অন্য হাদিসে আছে, তিনি বলেছেন, ‘সকল নবীরই আদর্শ ছিল ইফতারে তাড়াতাড়ি এবং সাহরিতে দেরি করা।’ ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ৩/১৩; নাসবুর রায়াহ, ২/৪৭০)

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর অন্তিম সময়২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করত ন গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ