Prothomalo:
2025-08-01@04:46:06 GMT

  যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি

Published: 12th, March 2025 GMT

নবীজি (সা.) অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে সাহরি গ্রহণ করতেন। জাঁকজমকহীন স্বাভাবিক সাহরি খাওয়া তার অভ্যাস ছিল। তিনি ভেজা খেজুর দিয়ে সাহরি করা পছন্দ করতেন। কখনো খেজুরের সঙ্গে তিনি দুধও নিতেন। (হাকাযা কানান নাবিয়্যু সা. ফি রমাদান, ৩৫)

আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) সাহরির সময়ে আমাকে বললেন, ‘আনাস, আমি রোজা রাখতে চাই, আমাকে কিছু খাবার দাও।’ আমি তার সামনে শুকনা খেজুর এবং একটি পাত্রে পানি উপস্থিত করলাম। বেলালের (প্রথম) আজানের পর তিনি সাহরি গ্রহণ করেছিলেন। (নাসায়ি, হাদিস: ২১৬৭)

আবু হোরাইরা (রা.

) থেকে বর্ণনা আছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের উত্তম সাহরি শুকনো খেজুর।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৪৫)

 রাসুল (সা.) সাহরি করতেন অনেক দেরিতে—সুবহে সাদিকের কিছু পূর্বে সাহরি সমাপ্ত করতেন। রমজানে কখনও ‘কিয়ামুল লাইল’র সময় এমনও হতো যে, উপস্থিত সাহাবিগণ ভাবতেন, সাহরি খাবারের সময় বুঝি আর পাওয়া যাবে না। এমনও হয়েছে, বেলাল (রা.) ফজরের আজান দেওয়ার পূর্ব লগ্নেও দেখছেন তিনি খাচ্ছেন।

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর হাসি২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সুতরাং, সাহরিতে নবীজির আমল ছিল শেষ সময়ে খাওয়া। তিনি এর কারণও বলেছেন। জায়েদ বিন সাবেত (রা.) বলেন, ‘আমরা নবীজির (সা.) সঙ্গে সাহরি খেলাম, এরপর তিনি নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি বললাম, সাহরি ও আজানের মধ্যবর্তী সময়ের দূরত্ব কতটা? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত পরিমাণ। বিলম্বে সাহরি গ্রহণ রোজার জন্য সহজ, রোজাদারের জন্য প্রশান্তিকর; এবং বিলম্বে সাহরি গ্রহণের কারণে ফজরের নামাজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯২১)

আরও পড়ুন নবীজি (সা.)-এর কান্না২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাধারণত ৫০টি মধ্যম দৈর্ঘ্যের আয়াত পড়তে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। তাই প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ও সাহাবায়ে কেরাম ফজরের নামাজের এইটুকু সময় পূর্বে সাহরি খাওয়া শেষ করতেন। সাহরিতে দেরি করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নবুওয়াতের ৭০ ভাগের এক ভাগ হলো দেরিতে সাহরি খাওয়া এবং ইফতারে জলদি করা। ইফতারের নির্দিষ্ট সময় হলে ইচ্ছা করে বিলম্ব না করা।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, ৪/২৩২)

অন্য হাদিসে আছে, তিনি বলেছেন, ‘সকল নবীরই আদর্শ ছিল ইফতারে তাড়াতাড়ি এবং সাহরিতে দেরি করা।’ ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ৩/১৩; নাসবুর রায়াহ, ২/৪৭০)

আরও পড়ুননবীজি (সা.)-এর অন্তিম সময়২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করত ন গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ