প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। 

বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী এ সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। 

তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তার মূল কর্মসূচিগুলো আছে। 

তিনি জানান, শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। 
জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তার কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তার কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে। 

তিনি বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। 

এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ত র কর ইফত র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা

অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ২৭ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরেছে প্রোটিয়ারা। সেই চক্র শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন মিশন।

আগামী ১৭ জুন গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেই শুরু করবে ২০২৫-২০২৭ চক্র। নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। তিনটি ঘরের মাঠে, তিনটি বিদেশে। বাংলাদেশ খেলবে সর্বমোট ১২টি টেস্ট ম্যাচ, যা এই চক্রে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দেশ ছাড়ার আগে এই নতুন চক্র নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই চক্রে অন্তত তিন কিংবা চার নম্বরে থাকতে চাই।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। প্রথম দুই চক্রে (২০১৯-২১ ও ২০২১-২৩) একটি করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। তবে ২০২৩-২৫ চক্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। ১২ ম্যাচে ৪টি জয়, তার মধ্যে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়ের স্মরণীয় কীর্তিও আছে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট জয় এখন ৫, ড্র ২ এবং হার ২৪ ম্যাচে।

আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

নতুন চক্রে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সিরিজই খেলবে। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ২০২৬ এর মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ ও  ২০২৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ