নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে পড়ে ছিল তিন বছর বয়সী এক শিশুর লাশ। বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চর শামুকখোলা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির সৎদাদি রাবেয়া বেগমকে (৬০) আটক করা হয়েছে।

লাশ উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম মো. শাহাদাত। সে লোহাগড়া উপজেলার চর শামুকখোলা গ্রামে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর পরিবারের সঙ্গে থাকত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার চর শামুকখোলা গ্রামের ইব্রাহীম মোল্যার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় শাহাদাতের মায়ের। এর পর থেকে মায়ের সঙ্গে সৎবাবার পরিবারে বসবাস করে আসছিল শাহাদাত। মায়ের সঙ্গে শিশুটির সৎদাদির সম্পর্ক ভালো ছিল না। প্রায়ই বিবাদ লাগত। দুই–তিন দিন আগে বাড়ি থেকে সৎদাদি রাবেয়া বেগমের কিছু টাকা হারানো নিয়ে শাহাদাতের মায়ের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় শাহাদাত। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে শাহাদাতের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

বুধবার রাত নয়টার দিকে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎদাদি রাবেয়াকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ