ফের বাড়ছে এস আলম স্টিল শাইনপুকুর সিরামিকসের দর
Published: 13th, March 2025 GMT
মাঝে কিছুটা বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ছে তালিকাভুক্ত এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের। গতকাল বৃহস্পতিবারসহ সর্বশেষ চার দিনই দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ হারে বাড়ছে শেয়ারটির দর। এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। নতুন করে একই পথে হাঁটছে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। গত চার দিনে এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২২ শতাংশ হারে।
শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম এবং বেক্সিমকোভুক্ত কোম্পানিগুলো সংকটাবস্থার মধ্যে চলছে। এ অবস্থায় এদের কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, এ দুই কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির ঘটনা পরিকল্পিত। কারসাজি চক্রের সম্পৃক্ততা আছে এমন তথ্য তারা নানা সূত্রে পেয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দফার রাতারাতি দর বৃদ্ধির সময় কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বেনামে শেয়ার বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ারদর ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৫ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠে। মাত্র তিন সপ্তাহে শেয়ারটির দর বাড়ে ১৬১ শতাংশ। প্রায় একই সময়ে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারদর ৬৪ শতাংশ বেড়ে ১৯ টাকা ছাড়ায়।
গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে মোট পাঁচ কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে। বাকি তিন কোম্পানি হলো– শ্যামপুর সুগার মিলস, জিল বাংলা সুগার মিলস এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।
এই পাঁচ কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ারদর বৃদ্ধি ছিল সার্বিক বাজারচিত্র বিবেচনায় ব্যতিক্রম। সার্বিক হিসাবে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১৫০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৬টির। অপরিবর্তিত ছিল ৬০টির দর। বাকি চারটির কেনাবেচা হয়নি।
খাতওয়ারি লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক ও বীমা খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর বাড়লেও অধিকাংশ খাতের বেশির ভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। ব্যাংকিং খাতের তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির মধ্যে ১৫টির দর বেড়েছে, কমেছে আটটির। বীমা খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৪৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১টির।
সার্বিক হিসাবে মিশ্রধারার মধ্যেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫২২৫ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিনে সূচকটি বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। গতকালের সূচকের এ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।
গতকাল ডিএসইতে ৪১৪ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৮ কোটি টাকা কম। একক কোম্পানি হিসেবে ২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল লাভেলো। ১৩ কোটি করে লেনদেনে পরের অবস্থানে ওরিয়ন ইনফিউশনস ও শাইনপুকুর সিরামিকস।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রদর ব দ ধ র শ য় রদর ব র দর ব ড় ছ দর ব দ ধ এস আলম গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ দিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেন শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। পরে তা পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ফিরে আসে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৬২টি কোম্পানির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৬টির।
এ দিন ডিএসইতে মোট ৪৫৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২.০৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০২ পয়েন্ট কমে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৫.৪৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টির।
সিএসইতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি//