মাদারীপুরের শিবচরে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ক্লিনিকের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আপেল মাহমুদ (৪০)। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও শিশু ধর্ষণের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি ওই নার্স তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী আপেল মাহমুদের মালিকানাধীন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আপেল মাহমুদ তাঁকে বিয়ের প্রলোভনে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর হাসপাতালের কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তাঁকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে শিবচর এনে একটি নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি বানিয়ে ছেড়ে দেন।

এ ঘটনার পর গত ৩০ ডিসেম্বর নার্সের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। এরপর আদালতের দ্বারস্ত হয় ভুক্তভোগী পরিবার। পরে আদালতের নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারি থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়। এর পর থেকে আপেল মাহমুদ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রতন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, আজ শুক্রবার সকালে আপেল মাহমুদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ বচর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভাস্কর্য বিভাগের উদ্যোগে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে সপ্তাহব্যাপী ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী’ শুরু হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

আরো পড়ুন:

জাবি অধ্যাপককে হুমকি গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি: ইউট্যাব

ঢাবি উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিমুল খবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, শিল্পাচার্য তনয় প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন, ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক লালা রুখ সেলিম এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আহ্বায়ক ড. নাসিমা হক মিতু।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিল্পের কোন সীমা নেই। এর একটি শাশ্বত ভাষা রয়েছে। এই শৈল্পিক ভাষা ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে শিল্পীরা মানুষের মনে স্থান করে নেন।”

শিক্ষার্থীদের ১ বছরের শ্রেণির কাজ থেকে বাছাইকৃত শিল্পকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৪৩ জন শিল্পীর ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ছয়জন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন। পরে তিনি সেরা শিল্পকর্মের জন্য ছয়জনকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- প্রত্যয় সাহা (শিল্পী আনোয়ার জাহান স্মৃতি পুরস্কার), চিন্ময় ঘোষ (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক স্মৃতি পুরস্কার), অলি মিয়া (ভাস্কর নভেরা আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার), মৃধা মো. রাইয়ান আযীম (অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান স্মৃতি পুরস্কার), সুমিত রায় (মাধ্যম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার) এবং সুপ্রিয় কুমার ঘোষ (নিরীক্ষামূলক শ্রেষ্ঠ পুরস্কার)।

আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ শিল্পকর্ম প্রদর্শনী চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ