নড়াইলে দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে যুবক নিহত
Published: 15th, March 2025 GMT
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলিমপুর গ্রামে ঠান্ডু মোল্যার সঙ্গে জনি মোল্যার গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠান্ডু মোল্যা গ্রুপের লোকজন ঢাল, সড়কি, রাম দা, ইটপাটকেল নিয়ে জনি মোল্যার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্য চন্দন সাহা ও সজল, সিলিমপুর গ্রামের কাদের মোল্যা, জনি মোল্যা, হাসিম মোল্যা, তোতা মোল্যা, বনি মোল্যা, আনিস মোল্যাসহ আটজন আহত হয়েছে। আহতদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত সাসিম মোল্যাকে (৩৬) প্রথমে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাসিম মোল্যা সিলিমপুর গ্রামের আবেদ মোল্যার ছেলে।
আরো পড়ুন:
পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪
সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ চলাকালে মৃত্যু, গুজব বলছে পুলিশ
এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২০ রাউন্ড গুলি, একটি শ্যুটারগান উদ্ধার করেছে। সিলিমপুর গ্রামের মৃত আহমেদ মোল্যার ছেলে সিরাজ মোল্যা (৪২) ও একই গ্রামের মকবুল শেখের ছেলে আজিজার শেখ (৫৫) আটক করা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, সিলিমপুর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে অস্ত্র উদ্ধার ও নিহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫