গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে এর দখল নিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের এ প্রস্তাব বাস্তবায়নে আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের পক্ষ থেকে থেকে বলা হয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পায়নি। দেশ দুটির পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর আগে আরব দেশগুলোকে এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের বিকল্প হিসেবে আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে মিসরের একটি প্রস্তাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। মিসরের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার পরিবর্তে গাজার পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের পরিবর্তে আরব নেতাদের পরিকল্পনায় গাজায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সরকার সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জায়গা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

সুদানের কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ড এ ধরনের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

সোমালিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ মোয়ালিম ফিকি বলেন, তাঁর দেশ কোনো পক্ষের যেকোনো প্রস্তাব বা উদ্যোগ, যা ফিলিস্তিনি জনগণের পৈতৃক ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে, তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন এবং অবিলম্বে গাজায় অবরোধ প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ। গতকাল যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নতুন কর্মসূচি 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আগামী শুক্র ও শনিবার (১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর) গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং রবি ও সোমবার (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এম এ সালাম বলেছেন, “বাগেরহাটের চারটি আসন অক্ষুণ্ন রাখার দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে, তবে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

এর আগে আসন কমানোর প্রতিবাদে জেলা জুড়ে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।

ঢাকা/শহিদুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ